চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ.জ.ম. নাসির উদ্দিন। লক্ষাধিক ভোটের বিশাল ব্যবধানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নির্বাচন বয়কট ও রাজনীতি থেকে অবসর নেয়া বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনজুর আলম।
হাতি প্রতীক নিয়ে বিজয়ী নাসির পেয়েছেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩ শত ৬১ টি ভোট। আর কমলা লেবু প্রতীক নিয়ে মনজুর আলম পেয়েছেন ৩ লাখ ০৪ হাজার ৮ শত ৩৭ টি ভোট। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ৭১৯ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। শহরটির এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম হলে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে তিনি নাসিরের বিজয়ের ঘোষণা দেন।
এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখেরও বেশি।
এরআগে আ.জ.ম. নাছির মঙ্গলবার সকাল নয়টায় নগরের মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এবং মনজুর আলম সকাল ৯টা ৩৮ মিনিটে উত্তর কাট্টলী হাজী দাউদ আহমেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন।
এখানে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১২ জন। আওয়ামীলীগ ও বিএনপির হেভিওয়েট দুই প্রার্থী ছাড়া অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ। তিনি ডিশ অ্যান্টেনা প্রতীক নিয়ে লড়াই করেছেন। বিএনএফের আরিফ মঈনুদ্দিনের প্রতীক ছিলো বাস। ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন চরকা প্রতীক, ইসলামিক ফ্রন্টের হোসাইন মোহাম্মদ মুজিবুল হক শুক্কুর ময়ূর প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের লড়াইয়ে অংশ নেন।
এছাড়াও সৈয়দ সাজ্জাদ জোহা প্রতীক ছিলো ক্রিকেট ব্যাট, ওয়ায়েজ হোসেন ভুঁইয়ার প্রতীক টেবিল ঘড়ি, শফিউল আলমের ইলিশ মাছ প্রতীক, সাইফুদ্দিন আহমেদ রবির প্রতীক ফ্লাক্স, আবুল কালাম আজাদের দিয়াশলাই প্রতীক এবং গাজী মো. আলাউদ্দিন টেলিস্কোপ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনের দিন বেলা সাড়ে এগারোটার দিকেই বিএনপির সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনজুর আলম ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, ভোট জালিয়াতি ও মারধরের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। একই সাথে মনজুর রাজনীতি থেকেও অবসরের সিদ্ধান্ত জানান।
বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পর নগরের প্রিয়া কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “পরাজয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে।”
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে মোট ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে কাউন্সিলর পদে ২১৭ জনে এবং ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৬২ জন।