শাহ্ আলম শাহী: গ্রামবাসীর সাথে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সদস্যদের সংর্ঘষের জেরে দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ১০ জন এসআই, ৫ জন এএসআই সহ ৪০ জনকে একসঙ্গে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। তবে পুলিশ সুপার হামিদুল আলম বলেছেন, এটি নিয়মতান্ত্রিক বদলি। এই বদলির সাথে সংঘর্ষের কোন সূত্র নেই।
পুলিশের একটি নির্ভরযাগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ১০ জন এসআই, ৫ জন এএসআইসহ মোট ৪০ জনকে সোমবার বদলি করেন পুলিশ সুপার।
পুলিশের ওই সূত্র জানায়, ডিবির অভিযুক্ত সকলকে বদলি করা হয়েছে। যারা অভিযোগের সাথে জড়িত নয়, তাদেরকে দিনাজপুরেই রাখা হচ্ছে আর যারা অভিযোগের সাথে জড়িত তাদেরকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর ডিবির পরিদর্শক (ওসি) মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ডিবির পুরো স্টাফকেই বদলি করা হয়েছে। তবে তাকে (মনিরুজ্জামান) বদলি করা হয়েছে কি না তা জানা নেই। এখনও তিনি আদেশ পাননি।
সোমবার রাতে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, ‘ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ছাড়াও সকল স্টাফকে বদলি করা হয়েছে। এটা গণবদলি নয়, বরং রুটিন মাফিক তাদের বদলি করা হয়েছে।’
এর আগে রোববার বিকেলে এসআই রেজাউল ইসলাম ও এএসআই জামিলের নেতৃত্বে দিনাজপুর সদর উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামে ডিবি পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এ সময় নুরুজ্জামান নামের এক যুবকের কাছে মাদক আছে বলে তাকে মারধর করে। এতে এলাকাবাসী বাধা দিলে ডিবি পুলিশের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়দের উপর ডিবি পুলিশ লাঠিচার্জ করলে ডিবি পুলিশের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষ লেগে যায়।
এ সময় সেখানে থাকা ডিবি পুলিশ চলে যায় এবং পরক্ষণে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীর উপর বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এতে ৩ ডিবি পুলিশসহ কমপক্ষে ১৫জন গ্রামবাসী আহত হয়।
এ ঘটনায় এলাকার লোকজন রাস্তায় এসে জড়িত ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে। তারা সড়কে গাছের গুড়ি ও ইট দিয়ে অবরোধ করে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়।
পরে রোববার রাতে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।