বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের বিরুদ্ধে গ্রাহক ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর উপরে নজরদারির অভিযোগ উঠেছে। তৃতীয়পক্ষের সফটওয়্যারের মাধ্যমে ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বেলজিয়ামের নাগরিকদের ওপর নজরদারি করছে, এমন অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় তা প্রমাণিত হওয়ায় ফেসবুককে ওইধরণের কর্মকাণ্ড বন্ধের আদেশ দিয়েছে বেলজিয়ামের আদালত।
আদালতের আদেশ অমান্য করা হলে প্রতিষ্ঠানটিকে ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার (১০ কোটি ইউরো) জরিমানা করার কথা জানানো হয়েছে।
বেলজিয়াম প্রাইভেসি কমিশনে ফেসবুকের বিরুদ্ধে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছিল, শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে গত শুক্রবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, ফেসবুক অবৈধভাবে বেলজিয়ামের নাগরিকের যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছে, তা মুছে ফেলতে হবে। ফেসবুক ব্যবহার করেননি, এমন ব্যক্তিদের তথ্য জোগাড় করলে সেসব তথ্যও মুছে ফেলতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বেলজিয়াম আদালতের নির্দেশনা মেনে চলার অঙ্গীকার করেছে।
বেলজিয়াম প্রাইভেসি কমিশন এক বিবৃতিতে উল্লেখ করে, আপনি কখনই ফেসবুকের ডোমেইনে প্রবেশ না করলেও প্রতিষ্ঠানটি গোপনে আপনার কর্মকাণ্ড নজরদারি করে। সেসঙ্গে বেলজিয়ামের প্রাইভেসি ওয়াচডগ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে।
বেলজিয়ামের আদালত ফেসবুকের বিরুদ্ধে এ রায় এমন সময়ে দিল, যখন প্রতিষ্ঠানটি প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা ঝুঁকির অভিযোগে বিশ্বব্যাপী চাপের মুখে রয়েছে। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফেসবুকের বিজ্ঞাপন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে রাশিয়া ভুয়া সংবাদ ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ইউরোপে এ প্লাটফর্মের মাধ্যমে ঘৃণাত্মক কনটেন্ট ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।