চট্টগ্রাম থেকে: রংপুর রাইডার্সের ক্রিস গেইলকে আটকানোর কী কৌশল ছিল, তা কিছুতেই ফাঁস করলেন না খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘নির্দিষ্ট করে বললে তো সব বের হয়ে যাবে।’
গেইল আগের দুই ম্যাচে অর্ধশতক করে রংপুরের জয়ে ভূমিকা রাখেন। রিয়াদের খুলনা এদিন ১৫৮ করার পর গেইল আর আরেকটি বড় নাম ম্যাককালামকে দ্রুত ফেরানোর চেষ্টায় মাঠে নামে। এবং তাতে তারা সফল।
৪ বলে দুই করে আফিফ হোসেনের বলে আরিফুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ম্যাককালাম। আগের তিন ম্যাচে তার স্কোর ৬, ৩৩, ১৩।
গেইলকে ফেরানোর কৌশল সম্পর্কে রিয়াদ নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে না চাইলেও এদিন তার অধিনায়কত্ব দেখে কিছুটা আঁচ করা গেছে।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আবু জায়েদকে পরপর দুই বলে গেইল ছয়-চার মারেন গেইল। এরপর অফসাইডে ত্রিশগজের ভেতর ফিল্ডার বাড়িয়ে বোলারের কাছে গিয়ে রিয়াদ কিছু একটা বলেন। অধিনায়কের পরামর্শ শুনে অফস্টাম্পের বাইরে স্লোয়ার মারেন জায়েদ। ত্রিশগজের বাইরে ফাঁকা দেখে লোভ সামলাতে পারেননি গেইল। শেষ মুহূর্তে নিচু হয়ে যাওয়া বলে কাভার ড্রাইভ করতে যেয়ে কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন।
সামনের ম্যাচের কথা চিন্তা করে গোপন কৌশল ফাঁস না করলেও একেবারে চুপ থাকেননি রিয়াদ, ‘আমাদের চেষ্টা ছিল সঠিক জায়গায় বল ফেলা। আর দ্রুত টপঅর্ডার ফেরাতে চেয়েছিলাম। আমরা তাতে সফল।’
খুলনার আফিফ হোসেন এদিন দারুণ বল করেছেন। ২ ওভারে চার রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচের পর আফিফের প্রশংসা করতে ভুললেন না অধিনায়ক, ‘আফিফ এদিন ভাল বল করেছে। ও আমাদের একটা সম্পদ।’
খুলনা ৮ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে আপাতত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। অন্যদিকে রংপুর সাত ম্যাচে তিন জয় নিয়ে পাঁচ নম্বরে।
পঞ্চম জয় পেতে শুরুতে গেইল-ম্যাককালামকে ফেরালেও রংপুরের প্লান ‘বি’ নাহিদুল-বোপারা জুটি রিয়াদকে চিন্তায় ফেলে। ওই জুটি আটকাতে রিয়াদ এদিন বৈচিত্র্যময় অধিনায়কত্ব করেন।
শতরানের পথে এ জুটি মিডিয়া প্রান্তের উইকেটে ব্যাট করার সময় স্লিপে দুজন করে রাখছিলেন রিয়াদ। শর্ট থার্ডম্যানে একজন। ফাইন লেগে একজন। আরেক প্রান্তে গেলে স্লিপ ফাঁকা রেখে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছিলেন। নাহিদুলের মাঝে স্কুপ করার প্রবণতা বেশি। রিয়াদ তা জেনেই শর্টফাইন লেগ আর ডিপস্কয়ার লেগে ফিল্ডার রাখেন। তাতে মাঠের অন্যদিকে শট খেলতে আগ্রহী হতে হয় চলতি মৌসুমেই প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা নাহিদকে। তাতে রানের গতি কমে যায়।
‘ওই সময় বোলার ব্যবহারের বিষয়টি মাথায় রেখে ফিল্ডিং সাজাই। আমরা চেষ্টা করেছি জুটিটি আটকাতে।’ বলছিলেন রিয়াদ।