চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধে চাই কঠোর আইন

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ১৩ শ্রমিকসহ সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হওয়ার পরদিন নতুন ২৫টি নির্দেশনা দিয়ে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৭ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাশ, লাইসেন্সের নম্বর কমতে কমতে নীল হলে তা বাতিল করা, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা ইত্যাদি। ওই আইনের খসড়ায় দুই গাড়ি পাল্লা দিয়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটালে ৩ বছর কারাদণ্ড অথবা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা ৬ মাসের জেল, জাল লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালালে ২ বছর জেল বা ৩ লাখ টাকা জরিমানা এবং গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এক মাসের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও গণপরিবহনে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের জন্য সংরক্ষিত আসনে পুরুষ যাত্রী বসলে এক মাসের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে। তবে সাধারণ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি কার্যকর হবে অর্থাৎ ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করা হলে মৃত্যুদণ্ডের যে বিধান ছিল তাও রেখে দেয়া হয়েছে ওই আইনের খসড়ায়। মন্ত্রিসভার এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। প্রতিদিন সড়কে মৃত্যুর মিছিলই প্রমাণ করে কোন কোন চালক কতটা বেপরোয়া। কোন আইনের তোয়াক্কা তারা করেন না। কারণ সেই সব চালক জানেন তাদের কিছু করতে পারবে না কেউই। এমনকি সরকারও তাদের কাছে জিন্মি। কয়েকদিন আগে দুইজন চালকের সাজার ঘটনার পর তারা পুরো দেশকেই অচল করে দিয়েছিল। যাদের সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্যসহ সরকারদলীয় প্রভাবশালী এক নেতা। তবে প্রধানমন্ত্রীর শক্ত অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত তারা পিছু হটতে বাধ্য হন। আমরা মনে করি সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধে কঠোর আইন ছাড়া অার কোন পথ নেই। তবে শুধু আইন করলেই হবে না; সেই আইনকে অারো কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলেই অসংখ্য পরিবারের সারাজীবনের কান্না থামানো যাবে।