বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প। বিজিএমইএ’র তথ্যমতে, তাদের মোট সদস্য কারখানার সংখ্যা ৪ হাজার ৩৩৯। এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলের কারখানা ৩ হাজার ৬২৮টি। বাকিগুলো চট্টগ্রাম অঞ্চলে অবস্থিত। বিজিএমইএ’র বাইরেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় অর্ধ কোটি। ওই শ্রমিকদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে সরকার। তাদের বেতন বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তৈরি পোশাক শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি কাঠামো তৈরি করতে মজুরি বোর্ড গঠন করেছে সরকার। বোর্ডের সুপারিশে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হবে। রোববার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চু্ন্নু এই বোর্ড গঠনের ঘোষণা দেন। এর আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করা হয়। আর ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে নতুন মজুরি কাঠামোয় প্রথম বেতন পেয়েছিলেন শ্রমিকরা। তখন চারটি গ্রেডে বাস্তবায়ন করা এই মজুরি কাঠামোয় সর্বনিম্ন বেতন ধরা হয় ৫,৩০০ টাকা। বাস্তবতার নিরিখে এরপরে দীর্ঘ ৫ বছর আর বাড়েনি তাদের মজুরি। বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুত, গ্যাস, পানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়লেও তাদের মজুরি সেই আগের মতই। নানা সময় নানা বিক্ষিপ্ত দাবি থাকলেও কোনো ধরণের অস্থির পরিবেশ তৈরি করেননি পোশাক শ্রমিকরা। তাদের ধৈর্য্যের ফল হিসেবে সরকারের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। বাস্তবতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারিত হবে, যা তাদের জীবনমানসহ কর্মক্ষেত্রে কাজের পরিবেশ উন্নত করবে– এই আমাদের প্রত্যাশা।