লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির দ্বিতীয় ছেলে সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফি রাষ্ট্রীয় ক্ষমার অধীনে মুক্তি পেয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সাইফের কর্মকাণ্ডে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে – এ অভিযোগে গত ৬ বছর ধরে বন্দী ছিলেন তিনি। তিনিই মুয়াম্মার গাদ্দাফির ক্ষমতার উত্তরসূরি ছিলেন। লিবিয়ার জিনতান শহরের একটি মিলিশিয়া বাহিনীর অধীনে সাইফকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।
আবু বকর আল-সিদ্দিক ব্যাটালিয়ন নামের ওই মিলিশিয়া বাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবারই সাইফকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তিনি জনসমক্ষে আসেননি। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, তিনি বর্তমানে পূর্বাঞ্চলীয় বায়দা শহরে আত্মীয়দের সঙ্গে রয়েছেন।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে গছিত দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেশ আগেই সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমা প্রদান করেছে। তাকে অবরুদ্ধ রাখা মিলিশিয়া দলটিও জানায়, ওই সরকারের অনুরোধের প্রেক্ষিতেই তারা কাজ করেছে।
তবে সাইফের অনুপস্থিতিতেই তার জন্য মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করেছেন দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ত্রিপোলির একটি আদালত। ওই অঞ্চলটি জাতিসংঘ সমর্থিত এবং অন্তর্বর্তীকালী সরকারের বিরোধী গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড-এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
২০১১ সালে নভেম্বরে লিবিয়া থেকে পালিয়ে নাইজার যাওয়ার পথে মরুভূমি থেকে সাইফকে আটক করা হয়। এরপর জনসমক্ষে এলে দেখা যায় তার হাতে কয়েকটি আঙ্গুল নেই। প্রাক্তন এই ‘প্লেবয়’খ্যাত গাদ্দাফি-পুত্র পশ্চিমা বিশ্বে এক সময় প্রায়ই গাদ্দাফির শাসনামলের ‘পাবলিক ফেস’ এবং গাদ্দাফির উত্তরাধিকারী হিসেবে সামনে এসেছেন।
এর আগেও গাদ্দাফির এই ছেলের মুক্তি পাওয়ার ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। এবারের তথ্যটি নিশ্চিত হলে তা লিবিয়ার বর্তমান অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝে আরেকটি অস্থিরতার উপাদান যোগ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।