বিগত কয়েকদিন ধরেই আলোচনার আছেন বরগুনার উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী তারিক সালমন। ছোট্ট এক শিশুর আঁকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ছবি স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণপত্রে ব্যবহার করে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন তিনি। এবার গাজী তারিক সালমনকে নিয়েই ফেসবুকে পোস্ট দিলেন তারই মামী মিলি আফরোজ।
ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, গাজী তারিক সালমন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরগুনা। দাদার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর, নানাবাড়ি সাতক্ষীরা সদরের পি এন স্কুল মোড়। পিতা আব্দুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ডাইরেক্টর (DD)। অবসরের পর মুন্সিপাড়ায় আমার আব্বার জমি কিনে বাড়ি করে বর্তমানে ওখানেই বসবাস করছেন। তিনি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। তার নানা ছিলেন সাতক্ষীরার প্রথম এম বি বি এস ডাঃ মরহুম মুজিবর রহমান। তিনি শহর আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন ১৯৬৮/৬৯ এ। এই সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে রাজনীতি থেকে বিরতি নেন।
এরপরে তিনি লিখেছেন, আমাদের কাছে সে অয়ন। আমি তার বড়মামী। আমি যে ঘরে থাকি এই ঘরেই অয়ন জন্মগ্রহণ করেছিল।
আজ আমার এই লেখার পিছনে একটি বিশেষ কারণ আছে। আমার মনে হয়েছে তা সবার জানা দরকার। সে যখন অনেক ছোট তখন থেকেই তার বিভিন্ন বইপড়া আর লেখার অভ্যাস। ঈদের সময় শার্ট-প্যান্টের বদলে সে বই কিনতে পছন্দ করতো। স্কুলে পড়াকালীন সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতায় রচনা লিখে প্রথম স্থান অধিকার করে। নিজে হাতে লিখে কবিতার বই করে। স্কুলেও হাতে লিখে দেয়াল পত্রিকা বের করে। সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতায়ও সে কয়েকবার জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করে। সেই ছোটবেলা থেকেই সে হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করে আসছে। এমন একজন ছেলে সম্পর্কে যদি বলা হয় বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করেছে তাহলে আমরা, তার পরিবারের সদস্যরা হাসবো না কাঁদবো সেটাই ভাবার বিষয়। তার সেই ছোটবেলার লেখা আমি অনেক যত্নে আমার কাছে রেখে দিয়েছিলাম আমার ছেলে দীপের কিছু স্মৃতির সাথে। একথা অয়নও হয়তো জানেনা।
সবশেষে মিলি আফরোজ লিখেছেন, তার বড়মামা মনজুরুল হক গানের ডায়রিতে তাকে দিয়ে গান লিখে নিয়েছিল সুন্দর হাতের লেখা ধরে রাখার জন্য। দুই রকমভাবে সে লিখতো। কখনও ভাবিনি এগুলো এভাবে কাজে লেগে যাবে। সেগুলো সবাইকে দেখানোর জন্যই আজ এই পোষ্ট দিলাম। আজ সারাদেশের জনগণ যেভাবে তার পাশে দাঁড়িয়েছে তা দেখে আমরা আপ্লুত, কৃতজ্ঞ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।