কয়েকদিন বৃষ্টির পর আবার গরম। অসহ্য গরম শুধু শরীরকেই ক্লান্ত করছে না, নানা ধরনের ধুলা-বালি আর রোগ-জীবাণু শরীরে ছড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে তার প্রভাব পড়ছে ত্বকে এবং চুলে। এতে চুল পড়ে যাচ্ছে, ত্বক রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে।
এসব নিয়ে চিন্তিত হবার কোন কারণ নেই। একটু সচেতন থাকলেই আপনি এসবকে এড়িয়ে সতেজ এবং ফুরফুরেভাবে চলতে পারবেন।
এজন্য জেনে নিন কিছু টিপস
- প্রতিদিন গোসল। অফিস থাকলে গোসল শেষে অফিস। এতে আলসেমি ভাবটা চলে যাবে। বাইরে থেকে ফিরে আবারও গোসল। এতে শরীরের ক্লান্তি দূর হবার সাথে সাথে পরিচ্ছন্নতাটাও ফিরে পাবেন।
- নিয়মিত চুল পরিস্কার রাখুন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধোবেন নিয়মিত। বাইরে বের হবার সময় সম্ভব হলে মাথা ভালোভাবে কোন কাপড় দিয়ে ঢেকে নিন। তাহলে আপনার চুলে ধুলা-ময়লা জমবে কম।
- সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলে কোন প্যাক লাগান। এতে চুলের রুক্ষ ভাবটা কমবে। প্যাকে আমলকি, মেথি, মেহেদী, অ্যালোভেরা, একটু লেবুর রস রাখুন। তবে চুলের যত্নে যেকোন প্যাকের সাথে অবশ্যই নারকেল তেল ব্যবহার করতে হবে।
- গরমে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে বার বার মুখ ধোবার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে ক্লান্তি ভাবটা কমবে এবং ত্বকে ধুলা-ময়লা জমার সুযোগ কম হবে।
- বাইরে থেকে ফিরে আগে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোবেন। তারপর হালকা কোন প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
- ফেসওয়াস যথাসম্ভব কম ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। কারণ, বার বার ফেসওয়াস ব্যবহার করলে ত্বকের লাবণ্য কমার আশঙ্কা থাকে।
- হাতের কাছে পাওয়া প্রাকৃতিক কোন উপাদান দিয়েই পরিস্কার করে নিতে পারেন ত্বকটা। এক্ষেত্রে আপনি অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন।
- মূলতানি মাটি, কমলার খোসার গুড়া, শংখ গুড়া, গ্লিসারিন, কয়েক ফোঁটা মধু ও লেবু, শসার রস মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন মুখে লাগাতে পারেন। এতে রোদে পোড়া ভাব চলে যাবে এবং ত্বকে উজ্বলতা ফিরে আসবে।
- চুলে নিয়মিত অয়েল ম্যাসেজ করুন। চুল শ্যাম্পু করার আগে তেল দিয়ে তারপর চুল শ্যাম্পু করুন। তাহলে চুলের রুক্ষ ভাবটা কমে যাবে।
সর্বোপরি নিজেকে সবসময় পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন। গরমে নিয়মিত গোসল করে পরিস্কার পোশাক পড়ুন। ফেমিনা