বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, গত এক বছরে দেশে ৫৩টি আদিবাসী নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই কারণ খুঁজে বের করতে হবে। কীভাবে এরমধ্যে তৃতীয়পক্ষ অন্তর্ভূক্ত হলো তা অনুসন্ধান করতে হবে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে ‘সরকারের প্রতিশ্রুতি এবং বাংলাদেশ আদিবাসী নারী ও কন্যাশিশুদের বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কাজী রিয়াজুল হক বলেন, বাংলাদেশ সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় আন্তর্জাতিক চুক্তির বিষয়ে বেশি শ্রদ্ধাশীল। এ বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। তবে মানবাধিকারসহ অন্যান্য চুক্তি বাস্তবায়নে আমাদের ঘাটতি রয়েছে। এসব বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছেন ঠিকই, তবে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
এসময় রংপুরের সাঁওতাল পল্লীর এক বাসিন্দার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাঁওতাল গোষ্ঠীর ওপর যে অবিচার-জুলুম করা হয়েছে তার সঙ্গে সরকার কোনভাবেই জড়িত নয়। কুচক্রি মহলের প্ররোচনায় এমনটি ঘটেছিল। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসন এর সঙ্গে জড়িত। কাজেই আপনারা হতাশ হবেন না। আপনারা আপনাদের সংগ্রাম, দাবি-দাওয়া চালিয়ে যান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ডেপুটি কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, প্রথমে মানুষ, তারপর নারী, তারপর আদিবাসী নারী।এই শব্দগুলো যে কত মর্মস্পর্মী তা কেবল আমরা যারা এর সঙ্গে জড়িত তারা খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারি। এমন কোন দিন নেই যেদিন নারীর প্রতি সহিংসতার খবর নেই। নারীর সঙ্গেই যেন সহিংসতা শব্দটি জড়িত।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফাল্গুনী ত্রিপুরা।
কাপেক ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের যৌথ আয়োজনে এবং সাদেকা হালিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শিরিন আখতার, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।