চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

খেলোয়াড়দের ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়ে সফল মাশরাফী

বিপিএল ফাইনালের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে প্রথমে কথা বলে যান রানার্সআপ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পরে অপরাজিত ১৪৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে সব আলো কেড়ে নেয়া ক্রিস গেইল। সবার শেষে আসলেন চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। বিপিএলের পাঁচ আসরের চারটিতে শিরোপাজয়ী দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ‘ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক।’

এক মৌসুম বিরতির পর আবারও শিরোপা উঠল তার হাতে। যে দলটির শেষ চারে উঠতে নাভিশ্বাস উঠেছিল তারাই কিনা চ্যাম্পিয়ন! রহস্যটা জানত চাইলেন সংবাদকর্মীরা। মাশরাফী প্রথমে বললেন ভাগ্যের সহায়তা। পাল্টা প্রশ্নে পরে বললেন দলীয় প্রচেষ্টার কথা। তবে আসল রহস্যটা বলতে সময় নিলেন আরও খানিকটা। শেষঅবধি জানালেন, নকআউট পর্বে এসে খেলোয়াড়দের পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়াটাই কাজে লেগেছে। এসময় কীভাবে দলকে উজ্জীবিত করেছেন জানালেন সে কথাও।

‘চতুর্থ হয়ে ওঠার পর অনেক কথা হয়েছে। তবে একটাই বার্তা ছিল, আমরা সুযোগ পেয়েছি। পরের যেকোনো ম্যাচের পর আমরা বাড়ি চলে যেতে পারি। তাহলে অলআউট ক্রিকেট খেলি, স্বাধীনতা নিয়ে খেলি। যার যেটা মন চায় সেটা যেন পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে মাঠে করি। এমন না একটা বোলার ইয়র্কার করতে চাচ্ছে, সেটা তাকে মনে বাধা দিচ্ছে বা এমন সংশয় নিয়ে যেন কিছু না করি। একই সময় গেইল-ম্যাককালামদের বলা ছিল, যেহেতু তারা শটস খেলতে পছন্দ কর সেটাই যেন খেলে। তারপরও শুরুর ১০ ওভার দেখে খেলেছে। সেটা নিজেদের মতো পরিকল্পনা করে খেলেছে। মেসেজটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, স্বাধীনতা নিয়ে খেলার, মাঠে কেউ কাউকে দোষারোপ করিনি। এটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

দলে গেইল-ম্যাককালামের মতো বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান থাকলেও রংপুরের টুর্নামেন্টে শুরুটা ভাল ছিল না। সেভাবে জ্বলে উঠতে পারছিলেন না কেউই। শেষ চারে যেতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে। স্থানীয় ও বিদেশি ক্রিকেটারদের ছোট ছোট অবদান, আর দলগত পারফরম্যান্সে কয়েকটি ক্লোজ ম্যাচ জিতে নিজেদের পথে রেখেছে দলটি। ১২ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে নিশ্চিত হয় রংপুরের শেষ চার। কুমিল্লা ১৮, ঢাকা ও খুলনা সমান ১৫ পয়েন্ট পেয়ে নিশ্চিত করে সেরা চার। ধুঁকে ধুঁকে আসা দলটিই শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন। গেইল-ম্যাককালাম-চার্লসরা জ্বললেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। টোটকাটা অবশ্য দিয়েছেন মাশরাফীই।

শেষ চার নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরই খুশি হয়ে গিয়েছিলেন রাইডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজি। শুরুতে চ্যাম্পিয়নশিপের স্বপ্ন দেখা মাশরাফী সেরা অর্জনটাই তুলে দিলেন। তার নিজের ভাষাতেই, ভাগ্য সাথে প্রচেষ্টা; আর মিলিয়ে মাশরাফী মানেই যেন চ্যাম্পিয়ন!