অকাল বন্যায় হাওরের একমাত্র ফসল বোরো ধান হারিয়ে খাদ্য সংকটের ঝুঁকিতে পড়েছে সাত জেলার হাওরনির্ভর লাখ লাখ মানুষ। ধান মাড়াই এবং শুকানোর কাজও নেই তাদের। বড় ধরনের খাদ্য সংকটে পড়ার আশঙ্কায় আছেন হাওর পাড়ের মানুষ।
দেশের পূর্ব মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের সাত জেলার হাওরঅধ্যুষিত এলাকার মধ্যে মাছ এবং ধান উৎপাদনে সব চেয়ে এগিয়ে জেলার মধ্যে অন্যতম সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জ সড়কে ঢুকলেই বোঝা যায়, কৃষকের কতটুকু ক্ষতি করেছে সর্বনাশা অকাল বন্যা।
অন্যান্য বছর এ সময় রাস্তায় ধান শুকানোর কারণে সুনামগঞ্জ সদর থেকে বিশ্বম্ভরপুর হয়ে জেলার সর্বশেষ উপজেলা তাহেরপুর সড়ক ধরে হাঁটাই কষ্টকর হতো। কিন্তু এ বছর পানির নিচ থেকে কাঁচা এবং পচা ধান কেটে পাড়ে তোলার চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।
মুক্তিযুদ্ধের পর হাওর অঞ্চলের কোনো কৃষককেই কখনো পরিবারের খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি। কিন্তু এ বছর ধনী-দরিদ্র সব কৃষকের চিন্তা, কী করে পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দেবেন তারা।
খাবার নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও স্বল্প বা ন্যায্য মূল্যে চাল পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত ইউনিয়ন এবং গ্রামগুলোতে। আর ত্রাণের চাল কিংবা টাকা তো অনেক দূরের কথা।
গত তিন বছরের ধারাবাহিকতায়- আগামী বোরো মৌসুমে কৃষক ধান লাগাবে কি না, সেই ভাবনাও পেয়ে বসেছে হাওর পাড়ের সব হারানো কৃষকদের।
মনির হোসেনের ক্যামেরায় বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: