দেশে পাঁচ-ছয় বছরে ভূট্টার আবাদ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। পশ্চিমাঞ্চলের পর এবার প্রথম উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলিতে কৃষকের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসলে পরিনত হয়েছে ভূট্টা। তারা বলছেন, উন্নত বীজ ও বাজার নিশ্চিত করা গেলে ভূট্টা আবাদ করে আরো আর্থিক সাফল্য আনা সম্ভব।
২০১০-২০১১ অর্থবছরে দেশে ভূট্টার আবাদ ছিলো ১৫ দশমিক ৫২ লাখ টন। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এই আবাদ বেড়ে পৌঁছে ২৭ দশমিক ৫৯ লাখ টন। তবে এবার কৃষি বিভাগ ৩৫ লাখ টন ভূট্টা উৎপাদনের আশা করছে।
কম উপকরণ ব্যয় আর ঝামেলা মুক্ত কৃষির বিবেচনায় এখন ধান, কলাসহ অন্য যেকোন ফসলের তুলনায় ভূট্টার চাষ গুরুত্ব পাচ্ছে কৃষকের কাছে।
পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁ ও দিনাজপুরসহ রংপুর অঞ্চলের বড় একটি অংশ এখন ক্ষেতজুড়ে ভূট্টার সোনালি আভা। কৃষকের ব্যস্ততা ভূট্টা তোলা ও মাড়াই ও শুকানোর কাজে। সবার মুখেই লাভের গল্প।
তবে কৃষকের চাওয়া সরকার ধান চালের মতো নির্ধারিত মূল্যে ভূট্টা সংগ্রহ করলে লাভবান হবেন তারা। এদিকে বিভিন্ন কোম্পানির নিম্নমানের বীজের কারণে প্রতারিত হচ্ছেন অনেক ভূট্টা চাষী বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা।
তবে কৃষি বিভাগ দাবি করেন, অভিযোগ পেলে বীজ কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে। সবকিছু মিলিয়ে কৃষকদের একটাই চাওয়া বীজ কোম্পানির দায়িত্বহীন বাণিজ্যিক তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে আসুক।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে :