চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ক্ষমা করো মুনাদি

বাল্যবিবাহ যে কোনো সমাজ বা দেশের জন্যই অভিশাপ। এর কারণে শিশুদের জীবনে শারীরিক ও মানসিক বিপর্যয় নেমে আসে। অনেক প্রচারণা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের পরেও এ দেশে এখনও বাল্যবিবাহের অনেক সংবাদই পাওয়া যায়। প্রকাশ্যে কিংবা লুকিয়ে-গোপনে তা হয়ে থাকে।

বাল্যবিবাহের নেতিবাচক দিক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মী পরিমল মজুমদার। তিনি ষাটের দশকের এক তরুণীর বাল্যবিবাহের ঘটনা উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘ক’দিন আগে ফার্মেসিতে ওষুধ কিনছিলাম, হঠাৎ পিছন থেকে এক বৃদ্ধার গলা – মুকুল নাকি! আমি চমকে উঠি। আমাকে ওই নামে হাতে গোনা কয়েকজন ডাকেন। পিছনে তাকাই, চিনতে পারিনা। বৃদ্ধার মুখে-চোখে তখন অনেক কৌতুহল আর অভিমান মাখা। আবার বলেন, চিনছিস্?
আমি চিনি না। মুই মুনা। আমার স্মৃতির বন্ধ দরজা মুহুর্তে খুলে যায়। মুনা… মুনাদি।

আমার কৈশোরে খেলার সাথি ছিলো। ষাটের দশকে ধুমধাম করে বাল্য বিয়ে হয়েছিলো তার। এখন সমস্ত শরির জুড়ে তার বৈধব্য আর ইশ্বরকে সপে দেয়া জীবনের চিহ্ন। মুনাকে কেনো জানি ভয় পাচ্ছিলাম, যদি জিজ্ঞাসা করে- কেনো তোমরা আমার বাল্য বিয়ে দিয়েছিলে? কি উত্তর দেবো! যে ভগবান তাকে নিষ্পাপ কৈশোরে দেখেন নি, সেই ভগবানে তার এখন অগাধ বিশ্বাস। ট্রাইটেস ফাইভ এমজি, আমার রক্তচাপের ওষুধ দেয় দোকানি।