বাংলা ক্রীড়া পত্রিকা ক্রীড়াজগত চার দশকের পথচলা পার করতে যাচ্ছে আগামী ২০ জুলাই। পাক্ষিক ক্রীড়াজগতের সম্পাদক দুলাল মাহমুদ সেটির স্মৃতিচারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। প্রিন্ট মিডিয়ার কঠিনতম এই সময়ে পাক্ষিকটির বর্ষশুরু সংখ্যার কথা তুলে ধরেছেন তাতে। লিখেছেন, এটি নস্টালজিক হাওয়াই মিঠাই সৌরভ ছড়িয়ে দেবে।
ক্রীড়াজগতের সম্পাদক দুলাল মাহমুদ ‘ইহা কোন বিজ্ঞাপন নয়’ শিরোনামে পোস্টটি শুরু করেছেন। লিখেছেন, ‘আগামী ২০ জুলাই ৪১ বছরে পা দেবে ‘ক্রীড়াজগত’। ইতোমধ্যে ৪০ বছর পূর্ণ করেছে জাতীয় এই ক্রীড়া পাক্ষিক। একটি বাংলা ক্রীড়া পত্রিকার চার দশকের পথচলা নিঃসন্দেহে বিরলতম ঘটনা। এরসঙ্গে জড়িয়ে আছে কত কত জনের কত রকম স্মৃতি। কোনোটা আনন্দের। কোনোটা গৌরবের। বেদনাও কি নেই? আছে কত ইতিহাসের উপাদানও। সেই স্মৃতি আর ইতিহাসকে তো একই মলাটের মধ্যে ধারণ করা সহজ নয়। তবে অম্ল-মধুর টুকরো টুকরো ঘটনা, স্মৃতিচারণ কিংবা স্মৃতিকাতরতার মাধ্যমে ফেলে আসা দিনগুলোকে কিছুটা হলেও অনুধাবন করা যায়। তাই না? দেশবরেণ্য (আছেন তরুণ প্রজন্মের কেউ কেউ) ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়াসংগঠক, ক্রীড়ালেখক, ক্রীড়াসাংবাদিক ও ক্রীড়ানুরাগীদের কলম ও কী-বোর্ডের যুগল মেলবন্ধনে একটি পত্রিকার সময়খণ্ডকে স্মরণ করার পাশাপাশি সেই সময়ের অনুভব-অনুভূতিকে খানিকটা হলেও তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ‘ক্রীড়াজগত’ পত্রিকার প্রকশিতব্য বর্ষশুরু সংখ্যায়।’
পরে ছাপা হরফের দুঃসময়ের কথা বলে লিখেছেন, ‘প্রিন্ট মিডিয়ার কঠিনতম এই সময়ে এমন উদ্যোগ কার্যকর করাও যে কত কঠিন, সেটা সংশ্লিষ্টরা পলে পলে অনুভব করতে পারবেন। যাহোক, বিশেষ এ সংখ্যাটি নস্টালজিক করার পাশাপাশি বুকের মধ্যে হাওয়াই মিঠাইয়ের সৌরভ ছড়িয়ে দেবে কিনা সেটা আপাতত একটা প্রশ্ন হয়ে ঝুলে থাকুক। হয়তো ফুটবল প্রজন্মের কাছে এর কদর হবে একরকম আর ক্রিকেট প্রজন্মের কাছে হতে পারে অন্য রকম। আর কিছু না হোক, অন্তত দুই প্রজন্মের বিপরীতমুখী মানসিকতার প্রতিফলন দেখা যেতে পারে।’