হত্যা, অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে কুয়েতে এক বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড হয়েছে কুয়েতের রাজ পরিবারের এক সদস্যসহ আরো ছয়জনের।
গত বুধবার কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ২০১৩ সালের পর এই প্রথম সেখানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটলো।
আলজাজিরায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি, দুইজন কুয়েতের বাসিন্দা, দুইজন মিশরীয়, একজন ফিলিপাইনের বাসিন্দা এবং আরেজকন ইথিওপিয়ান। হত্যা, হত্যাচেষ্টা, অপহরণ ও ধর্ষণের মতো বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন তারা।
তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ওই বাংলাদেশির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রিন্স ফয়সাল আবদুল্লাহ আল-জাবের আল-সাবাহ নামের রাজপরিবারের ওই সদস্যকে পূর্বপরিকল্পিত হত্যার দায়ে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় গণমাধ্যমে জানা যায়।
উপসাগরীয় দেশটিতে এই প্রথম রাজপরিবারের কোনো সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভাইয়ের ছেলেকে হত্যার দায়ে ২০১০ সালে ওই প্রিন্সকে আদালত মৃত্যুদণ্ড দেয়।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন কুয়েতি নারী রয়েছেন, যিনি কিনা স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালে তাঁবুতে আগুন দিয়ে ৫৭ জনকে মেরে ফেলেছিলেন যাদের মধ্যে নারী-শিশুও ছিল।
ফিলিপিনো ও ইথিওপীয় নারী দেশটিতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। নিয়োগকারী পরিবারের সদস্যদের হত্যার জন্য তারা মৃত্যুদণ্ড পান। আর দুই মিশরীয়র সাজা হয় পরিকল্পিতভাবে হত্যার দায়ে।