১৪ই ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস আর ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রাউফুন বসুনিয়া স্বৈরশাসকের দোসরদের গুলিতে নিহত হন।
এ বিষয় নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন সমাজকর্মী শিহাব শাহীন।
ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ১৯৮৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিল খুনে রাঙা হয়ে। আগে রাত (১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫) এগারোটার দিকে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের একটি মিছিল সূর্যসেন হল, মহসীন হল হয়ে জহুরুল হক হল ও এফ রহমান হলের মধ্যবর্তী সড়কে ওঠার মুহূর্তেই, এফ রহমান হল থেকে মিছিলে সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের দোসররা গুলিবর্ষণ করে। এতে নিহত হন মিছিলের অগ্রভাগের সাহসী মুখ রাউফুন বসুনিয়া। সমাজতত্ত্বের শেষ বর্ষের ছাত্র বসুনিয়া জাতীয় ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সারা রাত ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ছাত্ররা এফ রহমান হল ঘিরে রাখে। ভোর হতেই ‘প্রতিশোধের লাল ফুল …রা্উফুন রাউফুন’ শ্লোগানে ক্যাম্পাস প্রকম্পিত করে প্রথমেই মুহূর্তের মধ্যে মহসিন হলের খেলার মাঠের বিরাট ও বিশাল লম্বা দেয়াল মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় প্রতিবাদী ছাত্ররা সেই সাথে বিক্ষোভের আগুনে জ্বলতে থাকে এফ রহমান হল। ক্যাম্পাস থেকে চীরতরে বিতাড়িত হয় সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের দোসররা।
সবশেষে তিনি লিখেছেন, কুড়িগ্রামের রাজার হাটের পাইকপাড়া গ্রামে শুয়ে থাকা বসুনিয়ার নিজের কাছে নিজেকেই হয়তো এখন ভীষণ বোকা মনে হচ্ছে। সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের সংগ্রামে জীবন দিল। অথচ বর্তমান প্রজন্ম কত স্মার্ট! তারা চুম্বনের মাধ্যমে ‘সমাজ পরিবর্তনে’র ডাক দিয়েছে।এরা ব্যবসা ও রাজনীতি দুটোই ভালো বুজে। তাছাড়া, ভালোবাসানোটাও এখন ব্যবসার চমৎকার কৌশল!! এরা সত্যি স্মার্ট!!