কুয়ালালামপুর বিমান বন্দরে বিষক্রিয়ায় নিহত নর্থ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সৎ ভাই কিম জং ন্যামের মরদেহ সংরক্ষণ করা হাসপাতালের মর্গে সশস্ত্র পাহাড়া বসানো হয়েছে।
ন্যামের নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির জেরে মর্গের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ।
এএফপি’র বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে চারটি গাড়ির একটি বহর হাসপাতাল এলাকায় ঢুকতে দেখা যায়। সেখানে তারা মালয়েশিয়ার বিশেষ বাহিনীর ডজন খানেক সদস্যকে রেখে আসে। পরে সেখানে বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে কিম জং ন্যামের মরদেহ নিতে পরিবারের কেউ আসেনি বলে দাবি করেছে মালয়েশিয়া। তাই এখনো কিমের মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত করতে পারেনি বলে দেশটির অফিসিয়াল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে কিম জং ন্যামের বড় ছেলে কিম হ্যান সল পিতার লাশ নিতে সোমবার রাতে ম্যাকাও থেকে কুয়ালালামপুর গেছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রচারিত হলেও এর কোন সরকারি নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
বিষক্রিয়ায় ন্যামের মৃত্যু হয়েছে, প্রাথমিকভাবে এমনটি জানানো হলেও প্রকৃত কারণ এখনো অজানা বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ল্যাবরেটরির পরীক্ষার ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।
এছাড়া প্রাথমিক তদন্তে ন্যামের হার্ট এ্যাটাক বা তার শরীরে কোন ক্ষত পাওয়া যায়নি বলেও স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ডা. হাশিম আবদুল্লাহ জানিয়েছেন।
ন্যামের মরদেহ হস্তান্তরের আগে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে পরিবারের কোন সদস্যের ডিএনএ নমুনার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে মালেয়শিয়া।
এছাড়া ন্যামের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উচ্চবাচ্য বিনিময় অব্যাহত রয়েছে। নর্থ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ক্যাং ছল বলেন, ঘটনার সাতদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো প্রকৃত কোন কারণ জানা যায়নি।এখন আর পুলিশের তদন্তে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। এর পেছনে কারো হাত থাকার সন্দেহ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে তাদের ভূমিকা নিয়ে ক্যাং ছল এর এই বক্তব্য অপমানজনক বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফা আমান ক্যাং ছল এর অভিযোগকে `ভ্রান্ত, মিথ্যা ও অর্ধসত্য’ বলেছেন।
আর প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক তাদের `কূটনৈতিকভাবে অভদ্র’ বলে উল্লেখ করেছেন।