টেবিলে সাজানো আছে পরিপাটি করে ভাজ করা কিছু গামছা। হ্যাঁ, বিশ্বের সবচাইতে বড় চলচ্চিত্র উৎসব কানেও পৌঁছে গেছে বাংলাদেশের গামছা। অতিথিদেরকে বাংলাদেশের চায়ের স্বাদ দেওয়ার জন্য ‘কাজী অ্যান্ড কাজী’র টি ব্যাগও ছিল। ‘ঢাকা টু কান : অ্যা সেলিব্রেশন অব ট্যালেন্ট’ শীর্ষক এই পার্টিতে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ইনিশিয়েটিভ অব বাংলাদেশের (আইএফআইবি) প্রমা বাংলাদেশি পণ্যগুলো এবং সংগঠনটির ব্যাজ টেবিলে সাজিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। অতিথিরা এলেই উপহার দেয়া হয় বাংলাদেশের পণ্য।
পার্টিতে অনাকাঙ্ক্ষিত কেউ যাতে ঢুকতে না পারে সেজন্য পার্টির প্রবেশ পথেই হাতে পরিয়ে দেওয়া হয় রঙিন কাগজের রিস্ট ব্যান্ড। রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এই পার্টির ভেতরের একটি কর্নারে লাগানো হয় ‘ঢাকা টু কান’ প্রকল্পের পোস্টার। পোস্টারের সামনে দাঁড়িয়ে অনেক অতিথিই ছবি তোলেন।
পার্টি শুরুর আগে থেকেই রেস্তোরাঁয় উপস্থিত ছিলেন তরুণ নির্মাতা আবিদ মল্লিক ও লুবনা শারমিন। এর কিছুক্ষণ পরই উপস্থিত হন আইএফআইবি সভাপতি সামিয়া জামান। আরও এসেছেন স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান, ‘শুনতে কি পাও’ ছবির নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন ও তার স্ত্রী প্রযোজক সারা আফরীন।
অনেক বিদেশী অতিথিও এসেছেন বাংলাদেশীদেরকে শুভকামনা জানানোর জন্য। ছিলেন তারকারাও। ভারতের অভিনেত্রী অপর্ণা সেন এবং ভারতীয় নির্মাতা গুরিন্দর চাধা এসেছেন শুভেচ্ছা জানাতে।
পার্টিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইএফটিএ সভাপতি মার্কো ওরসিনি। সংগঠনটির সম্পর্কে ধারণা দেন তিনি। এরপর সামিয়া জামানের হাতে মাইক্রোফোন চলে যায়। তিনি বলেন, ‘ঢাকা টু কান’ কার্যক্রমটি বাংলাদেশের তরুণ নির্মাতাদের জন্য সহায়ক হবে এবং তাদের উদ্বুদ্ধ করবে। এরপর সামিয়া জামান একে একে পার্টির সব বাংলাদেশিকে ডেকে একসাথে ছবি তোলেন।
বাংলাদেশের উদীয়মান চলচ্চিত্রকারদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে কান উৎসবের ৭০তম আসরে আইইএফটিএ ও আইএফআইবি মিলে চালু করেছে ‘ঢাকা টু কান’ প্রকল্প। ‘ঢাকা টু কান’ প্রকল্পের অংশ হিসাবে আইএফটা কানের প্লাজ রয়্যালে ‘ঢাকা টু কান’ ‘সেলিব্রেশন অব ট্যালেন্ট’ এই সংবর্ধনা পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। পার্টির আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জিং ফিল্ম ট্যালেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইইএফটিএ)।
প্রকল্পের সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের দুজন তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল নির্মাতা লুবনা শারমিন ও আবিদ মল্লিক। মার্শে দ্যু ফিল্মের আয়োজিত প্রডিউসারস ওয়ার্কশপে অংশ নিচ্ছেন তারা। এই কার্যক্রমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র পরিচালক, চলচ্চিত্র নির্বাহী ও চলচ্চিত্র শিল্পের প্রভাব বিস্তারকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ পেয়েছেন আবিদ ও লুবনা।