দুধের চাহিদা মেটাতে কাতার পর্যন্ত জরুরি ফ্লাইটে ৪ হাজার হোলস্টেইন জাতের গরু নেয়ার পরিকল্পনা করেছেন দেশটির এক ব্যবসায়ী। কাতারের ওপর সৌদি আরবসহ প্রতিবেশী উপসাগরীয় দেশগুলোর চাপিয়ে দেয়া নিষেধাজ্ঞায় দেশটিতে দুধের সরবরাহে যেন ঘাটতি না হয় সেজন্যই এ পরিকল্পনা।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে জরুরি ভিত্তিতে মালপত্র, ওষুধ এক দেশ থেকে আরেক দেশে বিমানযোগে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু আকাশপথে জরুরিভাবে এত বেশি সংখ্যক গরু পরিবহন এটাই প্রথম বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান।
কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক চ্ছিন্নকারী প্রতিবেশী সৌদি, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের আকাশসীমাও কাতারের জন্য বন্ধ রেখেছে। সেসব দেশ থেকে খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রীও আমদানি বন্ধ রয়েছে কাতারে।
কাতার চেম্বার নিশ্চিত করেছে এক বছরের জন্য যথেষ্ট খাদ্য দেশে মজুদ আছে। তবে দুধের মতো খাদ্যদ্রব্যের চাহিদা মেটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুধের মোট চাহিদার মাত্র ৩০ শতাংশ কাতারে উৎপাদিত হয়। বাকিটা আমদানির মাধ্যমে। এতদিন পর্যন্ত দেশটি এর বেশিরভাগ দুধের চাহিদা মেটাত সৌদি আরব থেকে আমদানি করার মাধ্যমে। সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কাতারের বাজারে আপাতত পাওয়া আমদানিকৃত দুধ সব তুরস্কের।
কিন্তু এতেও মোট চাহিদা পূরণ না হওয়ায় এবার দুধ নয়, সরাসরি দুধেল গাভীই আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং নামক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মৌতাজ আল খাইয়াত ব্লুমবার্গ নিউজকে এ পরিকল্পনার কথা জানান। তিনিই গরুগুলো আনার ব্যবস্থা করছেন।
আল খাইয়াত বলেন, দোহার কাছে সদ্য নির্মিত নিজের ডেইরি ফার্মের জন্য শুরুতে জাহাজে করে গরুগুলো আনার কথা ছিল তার। তখন ধীরে ধীরে কয়েক দফায় আসত সেগুলো। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুধ সরবরাহের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত দুধের ব্যবস্থা করার জন্য প্লেনে করে গরু আনার পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।
গরুগুলো অস্টেলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যে কিনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী আল খাইয়াত। এতগুলো গবাদিপশু আনতে ৬০টির বেশি ফ্লাইট লাগবে বলে ধারণা করছেন তিনি।