চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কাতারকে দেয়া ১৩ শর্তে তুরস্কের ক্ষোভ

কাতারের উপর অবরোধ তুলে নিতে সৌদি জোটের দেয়া ১৩ শর্তে ক্ষুদ্ধ হয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান একে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং কাতারের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।

সৌদি জোটের পক্ষ থেকে শর্তগুলো দেয়ার দু্ইদিন পর রোববার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এসব শর্তের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি কাতার এসব শর্তকে ‘অযৌক্তিক এবং প্রয়োগযোগ্য নয়’ বলে প্রত্যাখ্যান করায় কাতারের প্রশংসাও করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।

কাতারের উপর আরোপিত অবরোধ তুলে নিতে প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় এই সংবাদমাধ্যম, তার সহযোগী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ কাতারকে মোট ১৩টি শর্ত দেয় সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন।

এই শর্তগুলোর মধ্যে আল-জাজিরা টিভির সম্প্রচার বন্ধ, কাতারে থাকা তুরস্কের সামরিক ঘাটি বন্ধ করা অন্যতম। শুক্রবার কাতারের কাছে দেওয়া এই শর্তের তালিকা আগামী ১০ দিনের মধ্যে পূরণ করতে বলা হয়েছে।

অন্য শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন, কাতারে থাকা এই চার দেশের ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের হস্তান্তর, যুক্তরাষ্ট্রের চিহ্নিত চরমপন্থী ব্যক্তি বা দলকে অর্থায়ান বন্ধ, আর্থিক ক্ষতিপূরণ করা, আইএস, আল-কায়েদা এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন, ১০ দিনের মধ্যে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক হ্রাস, আরাবি ২১ এবং মিডল ইস্ট আই সহ অন্য কিছু সংবাদমাধ্যমেও তহবিল বন্ধের বিষয়।

কাতারের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে মদদ দেয়ার অভিযোগ এনে গত ৫ জুন সৌদি আরবের নেতৃত্বে বাহরাইন, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং পরে লিবিয়া, ইয়েমেন ও মালদ্বীপ দেশটির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। ইয়েমেনে কথিত সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধের আরব জোট থেকেও বাদ দেয়া হয় কাতারকে।

দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নজিরবিহীন কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়েছে কাতার। প্রতিবেশী দেশগুলোর অবরোধের মুখে কাতারকে খাদ্য এবং অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করছে তুরস্ক ও ইরান।