চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কাঁদলেন শাবানা, হাসলেন শাবানা

আজীবন সম্মাননা পাওয়া বরেণ্য চিত্রনায়িকা শাবানা মঞ্চে এলেন। ডায়াসে দাঁড়িয়ে হাসলেন। দীর্ঘদিন পর্দার  বাইরে থাকা প্রিয় অভিনেত্রীকে সামনে থেকে দেখে চলচ্চিত্র সহকর্মীবৃন্দ করতালির মাধ্যমে তার আগমনকে স্বাগত জানান। শুরুতে আজীবন সম্মাননা পাওয়ায় চলচ্চিত্র পরিচালক, সহকর্মী ও দর্শকদের সালাম ও শুভেচ্ছা জানালেন। নির্মাতা, সহকর্মী ও দর্শকদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলেন তার অর্জন, যাদের জন্য রত্না থেকে তিনি শাবানা হতে পেরেছেন।

আজ ২৪ জুলাই সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র থেকে  ২৫ ক্যাটাগরিতে ৩১ জনকে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৫’ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  এতে যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন প্রখ্যাত চিত্রনায়িকা শাবানা ও সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমান।

সেখানেই শাবানা আজীবন সম্মাননা পাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করতে আসেন ভুবন ভোলানো হাসি নিয়ে। দীর্ঘ প্রবাস জীবনে সহকর্মী ও দর্শকদের খুব মিস করেন। সম্প্রতি জাতীয় সংসদ ভাবনে তাকে প্রথম দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’হাত বাড়িয়ে বুকে টেনে নিলে শাবানা তার শিল্পী সত্তাকে নতুন করে অনুভব করেন। সে ঘটনা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন শাবানা। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন আমাকে জড়িয়ে ধরলেন, আমি ভাবছিলাম, তিনি ব্যক্তি শাবানাকে নয়, সম্মান জানালেন শিল্পী শাবানাকে। যেই প্রধানমন্ত্রী শিল্পের কদর করতে জানেন। তিনি একজন অসুস্থ পরিচালককে চিকিৎসার জন্য উদার মনে এগিয়ে আসেন।’

শাবানা
শাবানা

শাবানা বিশ্বাস করেন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই চলচ্চিত্রের করুণ অবস্থার অবসান হবে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাইবার কিছু নেই। তিনি চলচ্চিত্রের সংকট জানেন। উড়াল সড়কের দেশে, মেট্রো রেলের দেশে, পদ্মা সেতুর দেশে তার হস্তক্ষেপের মাধ্যমেই চলচ্চিত্র নতুন করে গতি লাভ করবে। প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাধারা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৬ কোটি মানুষের সিনেমা বিশ্বরূপ লাভ করবে।’

১৯৫২ সালের ১৫ জুন চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করেন শাবানা। নতুন সুর চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয়ে পা রাখা শাবানা ২৯৯টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। যার অধিকাংশই পায় বিপুল দর্শকপ্রিয়তা। ঘরে ঘরে যুদ্ধ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৯৭ সালে তিনি অবসরে যান। এরপর থেকে বসবাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে।