অজিদের গড়া রান পাহাড়ের সামনেও ভালোই লড়াই চালিয়েছে পাকিস্তান। বাবর আজমের শতক, ওপেনার শারজিল খানের ৭৯ রানের পরও ৩৬৯ রানের বাধা টপকাতে পারলো না অতিথিরা। অ্যাডিলেড ওভালে ৩১২ রান করে অলআউট হয় পাকিস্তান। আর ৫৯ রানের পরাজয় বরণ করে নিলো। এর ফলে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতে নিলো অস্ট্রেলিয়া।
প্ল্যায়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন ১২৮ বলে ১৭৯ রান করা অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি সিরিজ সেরাও নির্বাচিত হন।
৩৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের বাবর আজম ১০৯ বলে ১০০ রান, শারজিল ৬৯ বলে ৭৯ রান এবং উমর আকমল ৪০ বলে ৪৬ রান করেন। স্বাগতিকদের মিচেল স্টার্ক ৪টি, প্যাট কামিন্স ২টি এবং জস হ্যাজেলউড, এ্যাডাম জাম্পা ও জেমস ফকনার ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া দলের দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং ট্রাভিস হেডের জোড়া শতকে ৩৬৯ রান করে অজিরা।
এদিন ৭৮ বলে সেঞ্চুরি করে অ্যালান বোর্ডারের রেকর্ডে ভাগ বসান ওয়ার্নার। এটি ওয়ার্নারের দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুির। আগেরটি ছিল ৯২ বলে। মোহাম্মদ আমিরের করা ইনিংসের প্রথম বলে স্লিপে ওয়ার্নারের ক্যাচ ফেলেন অধিনায়ক আজহার আলী। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ১১ চার, দুই ছয়ে ৭৮ বলে সেঞ্চুরি করেন।
১৯৮৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এ মাঠে ৭৮ বলেই সেঞ্চুরি করেছিলেন সাবেক অধিনায়ক বোর্ডার। টেস্টে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন ৬৯ বল।
১২৮ বলে ১৭৯ রান তুলে জুনায়েদ খানের বলে আউট হন তিনি। এটি অস্ট্রিলয়া হয়ে ওয়ানডেতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। সর্বোচ্চ ইনিংস শেন ওয়াটসনের, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। দ্বিতীয়টি ১৮১ রানের, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ম্যাথু হেডেন। এর আগে অবশ্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৭৮ রানের ইনিংস আছে ওয়ার্নারের।
এদিন ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরিরও সুযোগ ছিল ওয়ার্নারের। তিনি যখন আউট হন তখনও ম্যাচের পুরো ৯ ওভার খেলা বাকি। এ মৌসুমে ওয়ানডেতে এটি তার ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ২০১৪-১৫ মৌসুমে ছয় সেঞ্চুরিতে এতো দিন এককভাবে রেকর্ডটি ছিল শ্রীলঙ্কার গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারার।
ওয়ার্নারের দিনে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন হেডও। ১৩৭ রানে ১২৮ রান করেন তিনি। এদিন ওপেনিং জুটিতে ওয়ানডের দ্বিতীয় সর্বােচ্চ এবং অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ২৮৪ রান তোলেন ওয়ার্নার ও হেড।
২০০৬ সালে লিডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে সর্বােচ্চ ২৮৬ রান করেছিলেন শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়সুরিয়া ও উপুল থারাঙ্গা। অস্ট্রেলিয়ার আগের রেকর্ডটি ছিল ২৪৬ রানের।
অস্ট্রিলয়ার স্কাের লাইন আরো বড় হতে পারতো। কিন্তু মিডল অর্ডার ও শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা ক্লিক না করায় সেটা হয়নি। ওয়ার্নার ফেরার পর ৬০ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ৪, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১৩, ম্যাথু ওয়েড ৮, মিচেল স্টার্ক ৬, জেমস ফকনার ১৮ ও পিটার হ্যান্সকম্ব ১ রান করেন।
পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন জুনায়েদ খান ও হাসান আলী। এছাড়া মোহাম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ পান একটি করে উইকেট।