এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ডাক্তারি পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ডা.আবদুন নূর তুষার।
শিক্ষা ব্যবস্থার অসঙ্গতি তুলে ধরে একটি পেশা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং মানহানীর পেছনে দায়ীদের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের আইনী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করাও আহ্বান তার।
ফ্রেসবুকে তিনি লিখেছেন,’ডাক্তাররা এস এস সি পরীক্ষার প্রশ্ন দেখে দুঃখ পেয়েছেন।
আমি দুঃখ পেয়েছি বাংলাদেশের বাংলা শিক্ষা ও শিক্ষাব্যবস্থার অবনতি ও দুর্দশা দেখে।
কক্সবাজার বানান ভুল। প্রকৃত নামটি হবে কক্সেজবাজার। এটা কখনোই আমরা কেউই সঠিকভাবে লিখি না। ইংরেজরা এটাকে cox’sbazar নাম দিয়েছিল।
তারপর উদ্দীপক নামে কিছু প্যারাগ্রাফ দেয়া হয়েছে।
সেখানে লেখা হয়েছে, জাহেদ সাহেব একজন লোভী ডাক্তার। মানুষ লোভী হতে পারে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা শিক্ষক নন। পেশা উল্লেখ করে তাকে লোভী বলা, খুবই জঘন্য মানসিকতার পরিচায়ক। অমুক সাহেব একজন অভদ্র শিক্ষক। তমুক সাহেব একজন ভোদাই সরকারী কর্মকর্তা। এভাবে কারো পরিচয় দেয়া অসভ্যতা।
লক্ষ্য করলে দেখবেন, বলা হয়েছে জাহেদ সাহেব লোভী ডাক্তার । তাই তার সম্পদ লোভের কারণেই এসেছে। বিষয়টি এভাবে ভাবার কোন কারণ নেই। একজন ভালো ডাক্তার বা ভালো উকিল এমনিতেই অনেক আয় করবেন। একজন সি ই ও এমনিতেই অনেক বেতন পাবেন। তাদের ধন সম্পদ লোভী না হলেও হতে পারে। কারন তারা সেটার উপযুক্ত। সুন্দর পিচাই বা স্টিভ জবস কিংবা আমাদের রাজনীতিবিদদের হৃদযন্ত্রের ডাক্তার সিংগাপুরের মরিস চু লোভী না হয়েও ধনী।
অন্যদিকে জনৈক সগীরের ধন সম্পদের বর্ণনা দেবার সময় তার ধন সম্পদের উৎস বা তার পেশাগত পরিচয় দেয়া নাই। যেন তার ধনসম্পদ ফেরেশতারা দিয়ে গেছে। তিনি টাকার পেছনে না ছুটেই টাকা পেয়েছেন। বলা আছে তিনি অনেক দান খয়রাত করেন। যেন দান খয়রাত করলে লোভী মানুষ হয় না। বহু লোক আছে যারা ঘুষ চুরি দুর্নীতির টাকায় মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করে, কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাকে টাকা দেয়।
ভবিষ্যতে এমপি হবার আশায় বহু লোক এলাকাতে পয়সা ছিটায়। তারা কেউই নির্লোভ না। এলাকার সন্ত্রাসী ইলেকশন করার জন্য দান খয়রাত করে। এরা বড়সড় লোভী। তাই টাকা দান করলেই লোভ নাই এটা বলা যায় না।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ডাক্তার সাহেবরা ফেসবুকে সার্কাজম করছেন, আমি একজন লোভী ডাক্তার লিখে।
আরে ভাই, সরাসরি শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে বলেন, যদি কিছু বলতে চান। দরকার হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর অভিযোগ করেন। মামলা করেন আদালতে।
যেসকল গর্দভ এই প্রশ্নটির সাথে জড়িত, তারা আপনাদের উচ্চমানের সার্কাজম বোঝার মতো বুদ্ধি থাকলে কি এমন প্রশ্ন করতো?
ডাক্তারদের সংগঠনগুলির তৈলমর্দনকারী নেতৃবৃন্দ কি বলেন অার করেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।’