চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

এবার সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে গুঞ্জন

আগামী ডিসেম্বরেই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সৈয়দ আশরাফকে অব্যাহতি দেওয়ার পরপরই দল এবং দলের বাইরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে আসন্ন কাউন্সিলেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদেও আসছে পরিবর্তন। দলের অনেকেই ধারণা করছেন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় শীর্ষ পদে সৈয়দ আশরাফকে আর রাখা হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগের পরবর্তি সাধারণ সম্পাদক ভাবা হচ্ছে এমন এক নেতা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, দল সরকার পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে এমনিতেই দলীয় কর্মকাণ্ড কিছুটা ব্যাহত হয়। তার ওপর দলের সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কেউ নিষ্ক্রিয় থাকলে দল আরোও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সে বিবেচনায় দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকবেন এমন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে এটাই স্বাভাবিক।

‘তবে এখনই নিশ্চিত করে বলার সময় আসেনি ওই পদে পরিবর্তন হচ্ছে কি না। কারণ দলের কাউন্সিল হতে এখনো অনেক দিন বাকি,’ বলেন তিনি।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন এটা একান্তই প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার বিষয়। তিনি চাইলে যে কোনো সময় যে কাউকে সেখানে নিতেও পারেন; আবার বাদও দিতে পারেন। আর দলের সাধারণ সম্পাদক পদে কাউন্সিলের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। তাই এ নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

মন্ত্রী পদের রদবদলের আলোচিত সিদ্ধান্ত বিয়সে তিনি আরো বলেন, কোনো সিদ্ধান্তই ‘আইসোলেটেড’ নয়। নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে এটা একটা অর্থ তৈরি করবে। যদিও এখনই তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মির্জা এম এ জলিল বলেন, কাউন্সিলের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ জন্য দলের ওয়ার্কিং কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। তবে প্রাথমিক একটি সিদ্ধান্ত রয়েছে, আগামী ডিসেম্বরই কাউন্সিল হবে। আর দলের সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তনের বিষয়ে এই মূহুর্তে কোনো সিদ্ধান্ত নেই।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের আরেক সিনিয়র নেতা বলেন, সৈয়দ আশরাফ দলের নিউক্লিয়াস। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। তাই সে নিজে থেকে না চাইলে সাধারণ সম্পাদক পদে অন্য কাউকে আনবেন না দলীয় প্রধান। এটা নিয়ে যতই কথা হোক। আশরাফই দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে থাকবেন।

স্বৈরাচার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর ’৯০ সাল থেকে শুরু হওয়া গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীন সরকারি দলের দ্বিতীয় প্রধান তথা সাধারন সম্পাদকই এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন।

’৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান ওই সময়ে দলটির মহাসচিবের দায়িত্বে থাকা আব্দুস সালাম তালুকদার। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ওই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় দলের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানকে।

এরপর ২০০১ সালে বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় দলের তৎকালীন সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান ভূঁইয়াকে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে ওই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে আবার দায়িত্ব পান তিনি।