বাংলাদেশের শীতল পাটিকে ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। সাউথ কোরিয়ায় ইউনেস্কোর দ্বাদশ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বুধবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়।
স্বীকৃতিদানের মূল কাজটি করে ইন্টারগবর্নমেন্টাল কমিটি ফর দ্য সেফগার্ডিং অব দ্য ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ। কমিটির দ্বাদশ সম্মেলন এখন চলছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।
১২ সপ্তাহব্যাপী সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছে ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল। জাতীয় জাদুঘরের সচিব শওকত নবীর নেতৃত্বে দলে আরও আছেন জাদুঘরের কীপার ড. শিখা নূর মুন্সী, ডেপুটি কীপার আসমা ফেরদৌসী। প্র্যাকটিশনার হিসেবে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সিলেটের দুজন প্রসিদ্ধ শীতল পাটি শিল্পী শ্রী গীতেশ চন্দ্র দাশ ও শ্রী হরেন্দ্র কুমার দাশ।
কোন দেশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজের উপাদান যাচাই-বাছাই ও সুনির্দিষ্ট করে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে তুলে ধরে ইউনেস্কো। এর মাধ্যমে দেশটি ওই উপাদানের আঁতুড়ঘর হিসেবে বিশ্ব দরবারে সুপ্রতিষ্ঠি হয়, মর্যাদা লাভ করে।
এ সংক্রান্ত সনদে স্বাক্ষর করা সব দেশ প্রতি বছর নিজেদের যে কোন একটি উপাদানের স্বীকৃতি চেয়ে ইউনেস্কোতে আবেদন করতে পারে। এ বছর ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটির স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করে বাংলাদেশ।
ইউনেস্কোর প্রথম স্বীকৃতি লাভ করে বাংলাদেশের বাউল সঙ্গীত। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানি বুননশিল্প লাভ করে এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। গত বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা একই স্বীকৃতি লাভ করে।