এবার রাজধানীর বিজয় সরণি এলাকায় উল্টোপথে চলা সিনিয়র সচিব, পুলিশের ডিআইজি, সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীর গাড়িসহ মোট ৫০টি গাড়ির বিরুদ্ধে জরিমানা করেছে ট্রাফিক পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তেজগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে এই অভিযান চলে। জরিমানা হওয়া গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪৭টি মোটরসাইকেল, ২টি প্রাইভেটকার এবং একটি পাজেরো জিপ।
এ বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগ (পশ্চিম) শেরেবাংলা নগর জোনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার শহীদুল ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব আবদুর রব হাওলাদারের প্রাইভেটকার উল্টো পথে আসার কারণে ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়। তার গাড়ির নাম্বার ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৫৮৩০। এসময় তিনি গাড়িতে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় উল্টোপথে আসার সময় গাড়িটিকে আটকে দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, সিনিয়র সচিবের গাড়ির চালক মুক্তাদিরের সঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। এই কর্মকর্তার গাড়ির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, পাজেরো জিপ নিয়ে উল্টোপথে চলা পুলিশের ডিআইজি’র পরিচয় জানা যায়নি। এসময় তিনি গাড়িতে ছিলেন না। তার গাড়ি নম্বর ঢাকা মেট্রো-চ-১৪২০৮৫। পরে উল্টোপথে গাড়ি চালানোর দায়ে মোটরযান আইনের ১৪০ ধারায় ৪০০ টাকা জরিমানা করার পর গাড়িটি সোজাপথে চলে যায়।
সেনাবাহিনীর মোটর সাইকেল ও নৌবাহিনীর প্রাইভেট কারের বিরুদ্ধে মামলা করে কাগজ-পত্র নিজ নিজ বিভাগে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
সন্ধ্যা ৬টার পর অভিযানস্থলে ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, উল্টোপথে গাড়ি চালানো শুধু বেআইনি নয়, অপরাধও। কেউ যেন উল্টোপথে গাড়ি চালাতে না পারে সেজন্য এই অভিযান। আমাদের এই অভিযান প্রায়ই চালানো হবে। কোন কোন জায়গা দিয়ে উল্টোপথে গাড়ি আসে, সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ওই সব জায়গায় আমরা অভিযান চালাব।
সোমবার উল্টোপথে এসে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদসহ অনেক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাকে জরিমানা গুণতে হয়। এদিন বিকেলে হেয়ার রোডে ট্রাফিক পুলিশের ঘণ্টা দুয়েকের ওই অভিযানে ৫০টির মতো গাড়ি আটকানো হয়, যার বেশিরভাগই ছিল সরকারি কর্মকর্তাদের।
এর আগেরদিন রোববার এরকম অভিযানে উল্টোপথে আসা মোট তিন শতাধিক গাড়ি আটকে মামলা দেওয়া হয়।