চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এফবিসিসিআই নির্বাচন: বেড়েছে পরিচালক ও ভোটার সংখ্যা

দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর আগামী মেয়াদে পরিচালক বেড়েছে ৮ জন। একই সাথে ভোটার বেড়েছে ১৩৫ জন। তালিকায় নতুন করে আরো তিনটি চেম্বার ও পাঁচটি অ্যাসোসিয়েশন যুক্ত হওয়ায় পরিচালক ও ভোটার সংখ্যা বেড়েছে বলে সশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

যাচাই-বাচাইয়ের পর ২০১৭-২০১৯ সালের জন্য চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে মোট ভোটার চূড়ান্ত করা হয়েছে ২৩৪১ জনকে। চলতি (২০১৫-১৭) মেয়াদে রয়েছেন ২ হাজার ২০৬ জন। সে হিসেবে আগের তুলনায় ভোটার বেড়েছে ১৩৫ জন।
এফবিসিসিআইর ওয়েবসাইটের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ও সশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, এবারে নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা হচ্ছে ২৩৪১ জন। এরমধ্যে ৮১টি চেম্বার থেকে ভোটার ৪৫৪ জন আর ৩৮০টি এসোসিয়েশন থেকে ভোটার হয়েছেন ১৮৮৭ জন। তালিকায় আরো তিনটি চেম্বার ও পাঁচটি অ্যাসোসিয়েশন যুক্ত হওয়ায় ভোটার বেড়েছে। চলতি মেয়াদে ৭৮টি চেম্বার থেকে ৪৩২ জন এবং ৩৫৫টি অ্যাসোসিয়েশন থেকে ১ হাজার ৭৭৪ জন ভোটার হয়েছিলেন।

দেশে বর্তমানে মোট ৮২টি চেম্বার ও ৩৮৬ অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে। এর মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সদস্যদের মধ্যে ৬৫টি ‘এ’ ক্যাটাগরির ও ১৫টি ‘বি’ ক্যাটাগরির চেম্বার এবং ‘এ’ ক্যাটাগরির ৩৭৫টি ও ‘বি’ ক্যাটাগরির ৪টি এসোসিয়েশন রয়েছে।

অন্যদিকে পরিচালকের সংখ্যাও বাড়ছে এবার। আগামী মেয়াদে এফবিসিসিআইয়ের ৬০ পরিচালক পদের মধ্যে চেম্বার ও এসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ১৮টি করে মোট ৩৬টি পরিচালক পদে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ২৪টি পদে চেম্বার ও এসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে মনোনীত পরিচালকরা আসবেন। পরে ৬০ জন পরিচালক এফবিসিসিআই সভাপতি, প্রথম সহসভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচন করবেন।

চলতি মেয়াদে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক পদ রয়েছে ৫২টি। এর মধ্যে সরাসরি ভোটে অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বার থেকে ১৬ জন করে মোট ৩২ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। এর বাইরে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে আরও ২০ জন মনোনীত পরিচালকসহ ৫২ জন নিয়ে এফবিসিসিআই বোর্ড গঠিত হয়।

পরিচালক বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, পরিচালক বৃদ্ধির বিষয়টি সম্পূর্ণ সরকারের এখতিয়ার। পরিচালকের সংখ্যা বাড়িয়ে বাণিজ্যমন্ত্রনালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, এফবিসিআই পূনর্গঠনের জন্য আমরা একটি প্রস্তাবনা দিয়েছি সরকারকে। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।

নির্বাচনী বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১০ এপ্রিল। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৪ মে। ওইদিনই ভোট গণনা করা হবে। ১৬ মে সভাপতি, প্রথম সহসভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন নির্বাচিত ও মনোনীত পরিচালকরা। চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে ২০ মে।

পরিচালক মনোনয়নে সংগঠনের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগে ময়মনসিংহ চেম্বারের সভাপতির দায়ের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন দুই মাসের জন্য স্থগিত ও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে এফবিসিসিআই সভাপতি আপিল করলে ৩০ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের জারি করা রুল খারিজ করেন। এর ফলে নির্ধারিত সময়ে এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বাধা কাটে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৪ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।