বাংলাদেশ টেলিভিশনে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের বির্তকে বিচারকরা মুগ্ধ। অভিভূতদের একজন সাংবাদিক মীর মাসরুর জামান। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক হয়ে তিনি মহা আনন্দে দিনটি কাটিয়েছেন। ছোটবেলায় তিনিও বিতার্কিক ছিলেন।
বর্তমানে স্কুল শিক্ষার্থীদের বির্তক প্রতিযোগিতা মূল্যায়ন করে ফেসবুক স্ট্যটাস দিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেছেন: ‘ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ টেলিভিশনে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগী হিসেবে যেতাম। এখন ‘মা শিশু স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা’য় বিচারক হিসেবে যাই। এ কাজের দিনটি আমার মহা আনন্দের দিন। শিশুদের সঙ্গে থাকা তাদের বিতর্ক উপভোগ করা অপার আনন্দের বিষয়। নিজের ছোট বেলার কথাও মনে পড়ে।
কাল (২১ এপ্রিল) ছিল তেমন একটি দিন। চারটি বিতর্ক দেখলাম। মূল্যায়ন করলাম। এতোটুকু বাচ্চারা কী যে ভালো বলে! কিছু দোষ-ত্রুটি ধরি। কিন্তু বেশির ভাগটাই মুগ্ধ হয়ে শুনি। কাল ২০১৬’র প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্বটিও হলো। ঢাকার সাউথ পয়েন্ট স্কুল আর টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী স্কুলের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নিলো। দু’দলেই ছিলো মেয়েরা। কী যে অদ্ভুত এক বিতর্ক করলো ছোট মেয়েরা! তাদের চিন্তা, উপস্খাপনা, তত্ত্ব-তথ্য-যুক্তি দেয়া- সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখলো।
মনে করার কোনো কারণ নেই, তাদের যা শিখিয়ে দেয়া হয়েছে, শুধু তাই করেছে। তারা উপস্থিতভাবে যা বলেছে, যুক্তি খণ্ডন করেছে, সেগুলোও অসাধারণ। … মায়েরা, তোমরা এভাবেই এগিয়ে যাও। সবার সামনে, সারা পৃথিবীর সামনে আমাদের মুখ উজ্জ্বল কর।অল্প কিছু দৃষ্টান্ত দিয়ে মানুষ এ প্রজন্মকে যে সব দোষ দেয়, তোমরা তার সব ভুল প্রমাণ করে দাও। … অনেক ধন্যবাদ, খোকন দা’ Sailen Mondal এমন সফল আয়োজনের জন্য। আর আমাকে এতে যুক্ত থাকার সুযোগ দেয়ার জন্য।’