পাটা উইকেট। স্পিনাররা হালকা টার্ন পেলেও ব্যাটসম্যানদের জন্য হুমকির কিছু নেই। এমন উইকেটে তামিম, সাকিব আর সাব্বিরের ব্যাটে ৩২৪ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও এই রান বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে টাইগারদের তৃতীয় সর্বোচ্চ। যে ধরনের উইকেট তাতে স্বাগতিকদের এই রানের ভেতর আটকাতে বোলাররা কঠিন চ্যালেঞ্জর মুখে পড়তে পারেন। টিভি ধারাভাষ্যকাররাও বারবার সেই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তাছাড়া হাইস্কোরিং প্রস্তুতি ম্যাচের অভিজ্ঞতাও একই কথা বলছে।
ইনিংসের মাঝপথে চার বলের ব্যবধানে সাব্বির-মুশফিককে হারিয়ে যে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল শতক হাঁকিয়ে সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন। ১২৭ বলে শতকে পৌঁছান তিনি। এটি তার ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক। এর আগে ২০১৬ সালের অক্টোবরে সেঞ্চুরি করেছিলেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ১১৮ রান করেন। তামিম এদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে দশহাজার রানের মাইলফলকে পা দেন। শেষ পর্যন্ত ১২৭ করে আউট হন।
তামিমের সঙ্গে ৯০ রানের জুটি গড়ার পর বিদায় নেন সাব্বির রহমান (৫৬)। অর্ধশতকের পথে শুরুতে সাব্বির স্বাচ্ছন্দ্যে থাকলেও ৪০ পার হওয়ার পর এদিক-ওদিক করতে থাকেন। বারবার সুইপ খেলতে চেষ্টা করেন।
২২তম ওভারের তৃতীয় বলে গুনারত্নের ফুল লেন্থের বলে কাভার ড্রাইভ করতে যেয়ে উপুল থারাঙ্গার হাতে ধরা পড়েন। শর্ট কাভার থেকে দেখার মতো ক্যাচ নেন থারাঙ্গা।
পরের ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম (১)। সান্দাকানের বলে কট এন্ড বোল্ড হয়ে ফিরে যান সাদা পোশাকের অধিনায়ক।
এরপর ইনিংস বড় করার কাজ সেরেছেন সাকিব আল হাসান। ৬১ বলে ৫০ করার পর ৭২ রানে সাজঘরে ফেরেন।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সৌম্যকে নিয়ে দারুণ সূচনা করেছিলেন তামিম। তবে ২৯ রানের বেশি পার হয়নি উদ্বোধনী জুটি। ফিরে যান সৌম্য।
লাকমলের অফস্টাম্পের বলে শট খেলবো, খেলবো না করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে চান্দিমালের হাতে ধরা পড়েন সৌম্য সরকার (১০)।
শেষদিকে সাকিব ফিরে যাওয়ার পর রিয়াদ-মোসাদ্দেক বাকি পথটুকু পাড়ি দেন। মোসাদ্দেক ৯ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭ বলে রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ১৩!