চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এক রানের রোমাঞ্চে মুম্বাইয়ের রেকর্ড শিরোপা

পারলেন না ধোনি-স্মিথরা। পারল না রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট, আইপিএলের নতুন রাজা হতে। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে এক রানের রোমাঞ্চকর জয়ে মুম্বাইয়ের ঘরে গেছে দশম আসরের শিরোপা। প্রথম দল হিসেবে রেকর্ড তৃতীয়বারের মত আইপিএল মুকুট মাথায় চড়াল ইন্ডিয়ান্সরা।

শুরুতে ব্যাট করে ধুঁকতে ধুঁকতে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১২৯ রান তুলেছিল মুম্বাই। জবাব দিতে নেমে দেখেশুনে এগোতে থাকা পুনে লাগাম ধরে রেখেও নির্ধারিত ওভারের শেষে ৪ উইকেট হাতে রেখেও এক রান দূরে আটকে গেছে।

শেষ ওভারে ১১ রান দরকার ছিল পুনের। বলে মিচেল জনসন। মনোজ তিওয়ারি ২০তম ওভারের প্রথম বলেই চার মেরে আশার বাত্তি জ্বালান। পরের বলেই অবশ্য লংঅনে পোলার্ডের হাতে ধরা পড়েন তিওয়ারি। তৃতীয় বলে জনসনের সামনে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। স্বদেশীকে রাইড়ুর তালুতে জমা করিয়ে জনসন পুনের আশার বেলুনটা চেপে ধরেন।

ওভারে চতুর্থ বলে ওয়াশিংটন সুন্দর এক রান নেন। পঞ্চম বলে ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ান বাতাসে বল ভাসিয়েছিলেন। সেটি ডিপ মিডউইকেটে ফেলে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। সঙ্গে ২টি রানও পায় পুনে। শেষ বলে দরকার ৪ রান। ৩ হলে টাই! ক্রিশ্চিয়ান নিতে পারলেন ২ রান। তৃতীয়টি নিতে যেয়ে রানআউট। অতিরিক্ত ফিল্ডার সুচিথের দুর্দান্ত থ্রতে পার্থিব প্যাটেলের ছোঁয়া, মুম্বাই ভাসে শিরোপার উল্লাসে।

মাঝারি রান তাড়া করতে নেমে পুনে শুরুতেই ফর্মে থাকা রাহুল ত্রিপাঠিকে (৩) হারায়। এরপর আজিঙ্কা রাহানে ও স্মিথ ৫৪ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জমে রাখেন। ৩৮ বলে ৫ চারে ৪৪ রানে ফেরেন রাহানে।

ধোনি (১০) দ্রুত ফিরলেও স্মিথ ছিলেন। কিন্তু অধিনায়ক ২টি করে চার ছয়ে ৫০ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেললেও ম্যাচ জেতাতে পারলেন না। শেষ ওভারের নাটক-রোমাঞ্চের মধ্যে তিনিও আশার বেলুন ফুটো করে আউট হয়েছেন।

এর আগে ফাইনালের মঞ্চে টস জিতে ব্যাটিং নেন রোহিত শর্মা। প্রথম থেকেই ধস নামে মুম্বাই ব্যাটিংয়ে। কেউ দাঁড়াতে পারেননি পুনের বোলিংয়ের সামনে। ওপেন করতে এসে ৩ রানে লেন্ডল সিমন্স ও ৪ রানে পার্থিব প্যাটেল ফিরে যান। তিন নম্বরে নেমে আম্বাতি রাইডু ১৫ বলে ১২ রান করেন।

রোহিত একটু চেষ্টা করলেও তা থমকে যায় ২২ বলে ২৪ রানেই। পরে হাল ধরার চেষ্টা করেন ক্রনাল পান্ডিয়া। কিন্তু তাকে সঙ্গ দেয়ার মতো কেউ ছিল না। উল্টো প্রান্তে তখন সাজঘরে ফেরার তাড়া। কাইরন পোলার্ড (৭), হার্দিক পান্ডিয়া (১০), কর্ণ শর্মা (১) রান করে আউট হয়ে যান।

ব্যাট হাতে কিছুটা রুখে দাঁড়ানো ক্রুনাল শেষ বলে যখন আউট হলেন, নামের পাশে ৪৭ রান। ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩৮ বলে। মিচেল জনসন ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। মূল্যবান সে রানগুলোই পরে শিরোপার হাসি এনে দিল।