একটা ছেলে যদি মেয়েকে চোখ মেরে ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়? কী হবে? সেই ছেলেকে নিয়ে চারদিকে ছিঃ ছিঃ রব উঠবে না? ছেলেটা বখাটে তকমা পাবে না? অথচ এই কাজটা করেই প্রিয়া প্রকাশ ওয়ারিয়ার একদিনে মাটি থেকে আকাশে উঠে গেছেন। তাকে নিয়ে খোদ বাংলাদেশেই যে পরিমাণ আলোচনা হচ্ছে তাতে বলাই যায় প্রিয়া প্রকাশ মানুষ থেকে নক্ষত্র হয়ে গেছেন।
ফেসবুকের বদান্যতায় হুজুগে বাঙালি আরও হুজুগে হয়েছে। একটা ইস্যু পেলে সেটাকে আটা মাখা মাখতে থাকে। প্রিয়া প্রকাশ ওয়ারিয়ার চোখ মারার ভিডিওটিও আটার মতো মাখা হয়েছে। শুধু বাঙালিই না; ভিডিওটা যারাই দেখেছে তারাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে প্রিয়ার উপর। মানে প্রিয়ার আইডির উপর। একদিনে দশ লাখের মতো ফলোয়ার বেড়েছে।
হয়তো দুই একদিনের ভেতর এদেশের ইউটিউবাররা প্রিয়ার চোখ মারার স্টাইল কপি করে ভিডিও বানাবে। এর আগে সনুর ভিডিও নিয়ে যা হয়েছে। কে জানে ইভেন্ট পাগল জনগণ ‘প্রিয়া, আমাকে চোখ মারুন’ শিরোনামে ইভেন্টও খুলে বসতে পারে। তারপর সেই ইভেন্টে যোগ দিয়ে সবাই সমস্বরে গাইবে, ‘নিঃশ্বাস আমার তুমি প্রিয়া আমার প্রিয়া…।’
এক বন্ধুকে আক্ষেপ করে বলতে শুনলাম, মেয়েটা চোখ মেরেই হিট। অথচ ছেলেটা কী সুন্দর পারফর্ম করলো কারও চোখেও পড়লো না। আমরা ফেসবুকাররা হলাম বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ হাথুরুসিংহের মতো। ছেলেটা হয়েছে আনামুল হকের মতো। যত পারফর্মই করুক চোখে পড়ছে না। আরেক বন্ধু দেখি ভিডিওটার দিকে তাকিয়ে বলছে, এক চোখ মেরেই তুমি এত হিট, দুই চোখ মারলে কী হতো?
এ থেকে একটা সিদ্ধান্তে আসা যায়। বাংলার ছেলেদের খিদা বেশি। ক্রাশ বেশি খায়। নারীর বুক ফাটে তো মুখ ফাটে না, কথাটা ফেসবুক যুগেও প্রতিষ্ঠিত। ছেলেটার উপর তারা ক্রাশ খেলেও প্রকাশ করে নাই।
আহা ছেলেটা, তোমাকে নিয়ে কোনো নিউজও হলো না।