মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন করে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে নূন্যতম ১৩ বছর হতে হবে, সরকারের জারি করা এমন গেজেটের বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে ২০১৬ সালে ১০ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের জারি করা গেজেট কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালকসহ আটজনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকি বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল করিম ও ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।
রিটটি দায়ের করেন উপ-হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (পদ্ধতি) খন্দকার সহিদুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রধান হিসাব কর্মকর্তা।
গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সহিদুল ইসলামকে অতিরিক্ত উপ-মহাহিসাব নিরিক্ষক ও নিয়ন্ত্রণক (প্রশাসন) চিঠি দিয়ে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বপক্ষে কাগজপত্রের সত্যতা না পাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনাকে প্রত্যয়ন করা যায়নি।’
ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পরে হাইকোর্টে রিট করেন সহিদুল ইসলাম। রিট আবেদনে বলা হয়, ভারতীয় তালিকায় এবং লাল মুক্তি বার্তায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম রয়েছে। ১৯৮১ সালের ২৩ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অডিটর পদে চাকরিতে নিয়োগও দেওয়া হয় তাকে।
গত বছরের ১০ নভেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ’ করে গেজেট জারি করে সরকার। ওই গেজেটে বলা হয়, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অর্ন্তভুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে নূন্যতম ১৩ বছর হতে হবে।’
পরে সহিদুল ইসলাম ওই রিটে এই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি সম্পূরক আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ১৩ বছর না হওয়ার কারণে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করছে না অডিটর অফিস।