চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

একটাই তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের

ভিসি নির্বাচন কিংবা শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরেক শিক্ষকের নামে মামলা করে আলোচনায় থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবারও সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম। তবে এবারও শিরোনাম মোটেই ইতিবাচক কারণে নয়, বরং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামসহ যেকোন ক্রান্তিকালে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী এই প্রতিষ্ঠানের জন্য লজ্জার। ঢাবির ঘ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মধ্য দিয়ে ঘটনাপ্রবাহের সূচনা হয়। চ্যানেল আই অনলাইনসহ অনেক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ঘ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন পৌঁছায়। পরীক্ষার পর প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি ঢাবি প্রশাসনের নজরে আনা হলেও তারা দুঃখজনকভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছেন! এমনকি এ বিষয়ে সাংবাদিকদেরও দোষারোপ করতে দেখা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় পরীক্ষা বাতিল এবং পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবি উঠলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাতে কর্ণপাত না করে তড়িঘড়ি করে ফল প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায় স্বীকার না করে বরং বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন কলঙ্কজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন প্রশাসন আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারতো বলে আমরা মনে করি। এক্ষেত্রে অভিযোগ আমলে নেওয়ার সুযোগ ছিল। অথচ তা না করে একজন সাংবাদিককে লাঞ্ছনা এবং পুলিশে দেওয়ার চেষ্টাও দেখা গেছে! এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে ‘সান্ধ্যআইন’ জারির খবরও জানা গেছে। এসব ঘটনাপ্রবাহ শুধু এই প্রতিষ্ঠান কেন, দেশের জন্যও কোন শুভ ঘটনা নয়। দেশের মানুষের অন্যতম ভরসাস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুঃখজনক ঘটনা শোধরানোর সুযোগ এখনও শেষ হয়ে যায়নি বলে আমরা মনে করি। এক্ষেত্রে আমরা উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের কথায় আশ্বস্ত হতে চাই। তিনি প্রশ্ন ফাঁসের অশুভ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সকলকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এর সঙ্গে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সীমিত না করার বিষয়টিও আমরা যোগ করতে চাই। আমরা মনে করি, দায় এড়িয়ে যাওয়ার মধ্যে কোন সফলতা নেই। কলঙ্কের দায় না এড়িয়ে অঙ্কুরেই অশুভ শক্তিকে বিনষ্ট করে দিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্যোগী হতে আমরা আহ্বান জানাই।