চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

একজনের দুর্বলতা ‘ইমেইল’, আরেকজনের দুর্বলতা ‘ফিমেইল’

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে জয়ী হবে হিলারী ক্লিনটন না ডোনাল্ড ট্রাম্প।এই বিষয়টি নিয়ে হাস্যকর ও রসবোধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফেসবুক সেলেব্রিটি আরিফ আর হোসাইন।

তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন,

‘একসময় আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশনের ডিবেট কালচার নিয়ে লিখেছিলাম… কেন এরকম আমাদের দেশে হয় না… কিন্তু পর পর ৩ টা ডিবেট দেখে মনে হচ্ছে, দেট অয়াজ এ ওয়েস্ট অফ টাইম

আমেরিকা ডুবতে চলেছে

আমি মনে প্রানে চাই, ট্রাম্প আসুক…

দে ডিজার্ভ হিম

এই জোকারটা এতদূর যেহেতু এসেছে, আমি বিশ্বাস করি বাকিটা পথও সে চলে আসবে

সে প্রথম ডিবেটে চমৎকার একটা কথা বলে ফেলে হিলারীকে, ‘তুমি যে এই চেইঞ্জ আনবা সেই চেইঞ্জ আনবা বলছ, তুমি তো পাওয়ারে আছো আজ প্রায় ৩০ বছর থেকে… এতদিন কেন করো নাই এগুলো?’

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজলেই বুঝা যায় হিলারীর ভিতরটা

আমার কাছে হিলারীকে ট্রাম্পের সাইলেন্ট ভারশান মনে হয়েছে

ট্রাম্প যে সব কথা বা গালি বা কুটবুদ্ধিগুলো মুখে মুখে করে, সেগুলো হিলারীও করে… তবে শুধু মনে মনে

এই হলো পার্থক্য

আমেরিকার দুর্ভাগ্য যে তাদের এবার ইলেকশানে ‘মন্দের ভালো’ প্রার্থীটাকে খুঁজতে হবে

সেদিন একটা কার্টুন দেখলাম… আমেরিকান এক হোমলেস লোক রাস্তায় থালা নিয়ে বসেছে… পাশে প্ল্যাকার্ডে লেখা, “১ ডলার দেন তা না হলে কিন্তু আমি ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে দিবো”

এই হলো অবস্থা

ভাবতেই অবাক লাগে যে ট্রাম্পের হাতের ছাপের ইশারায় নিউক্লিয়ার ওয়ারহেডগুলো জাগবে-থামবে

হরিবল

আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, ট্রাম্পই আসবে

যদি এঁকে এতোই ফেলনা মনে করত তারা, তাহলে সে এতদূর আসতে পারত না

রিপাবলিকান সকল তুখোড় প্রার্থীকে পিছনে ফেলে সে তার দলের ফাইনাল প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যান্ডিডেট হয়ে গেছে… বাতাসে ভেসে এসে?

তার জেতাটা আরও সহজ হবে, যদি সে ইলেকশানের আগে মুখ বন্ধ রাখে

সিম্পল স্ট্রেটেজি

মুখ বন্ধ রাখ বাবা… ভোট প্রতিদিন অটো বাড়তে থাকবে

ট্র্যাম্পের ক্যাম্পেইন টিমে কয়েকশো হার্ভার্ড ব্রেইন, পে-স্কেলে থেকে কাজ করছে গত ৩ বছর থেকে

আপনার কি ধারনা ট্র্যাম্পকে গ্রুমিং করার চেষ্টা মাথায় আনেনি তারা?

এনেছে… অবশ্যই এনেছে… কিন্তু ইচ্ছে করেই করেনি

কারণ এই ক্যারেক্টারটাই আমেরিকানরা লাইক করবে তারা জানেন

যেমনটা আমাদের অনন্ত জলিলের পিআর দেখে যে স্মার্ট এজেন্সিটা, তারা করেছে

সি ইট ওয়ার্কড

তাকে ইচ্ছে করেই গ্রুমিং করা হয়নি

ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই ভবিষ্যত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভাবছেন আরিফ আর হোসাইন
ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই ভবিষ্যত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভাবছেন আরিফ আর হোসাইন

এবং মার্কেটও সে পেয়েছে… হিউজ মার্কেট শেয়ার তার এখন

“দেশের শান্তিকামী মানুষ একজন কট্টরপন্থীকে কেন পাওয়ারে আনবে?”… এটাই যদি শেষ খটকা হয়ে থাকে তাহলে চোখ খুলেন

বেশিদূর যাওয়া লাগবে না… পাশের দেশের দিকেই তাকাই, মোদী কি কট্টরপন্থী না?

গুজরাটে তলোয়ার হাতে সে কি করিয়েছিল তা কে না জানে?

আর কোনও কনফিউশান?

ওয়ার্ল্ডের পাওয়ারে এখন কট্টরপন্থীরাই আসছে

সো গেড রেডি টু সি দ্যা বিগেস্ট ডাম্ব এজ দ্যা মোস্ট পাওয়ারফুল প্রেসিডেন্ট অফ আর্থ

আমি রেডি

যে দেশ নিজেকে এতটা লিবারেল বলে, সেই দেশের ২৪০ বছরের গণতন্ত্রের ইতিহাসে আজ পর্যন্তও কোনও নারী প্রেসিডেন্ট নেই

বিষয়টা ভাবায়না আপনাকে?

আমি সিরিয়াসলি রেডি

আপনারাও, যাদের স্টেচু অফ লিবার্টির সাথে ছবি নেই এখনও, তারা ৭ই নভেম্বরের আগে তুলে ফেলেন

এটাই চান্স

ইতিহাসের অংশ হতে সবাই পারে না

ডোন্ট মিস ইট

একটা দেশের প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজে বসে হাফ প্যান্টের উপর রেসলিং এর বেল্ট পড়ে হাতে ভিডিও গেইমসের জয়েস্টিকের মতো নিউক্লিয়ার কোড নিয়ে খেলবে

সেই দেশে আর যাই থাক… এতো বড় বড় কথার স্ট্যাচুর থেকে যাওয়া হচ্ছে না’