চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এই কেকটির বয়স ১০৬ বছর

প্রকৃতিতে সবচেয়ে বৈরী পরিবেশ বরফ আচ্ছাদিত অ্যান্টার্কটিকার। তবে একটি ব্রিটিশ ফ্রুটকেকের জন্য তা নয়। সম্প্রতি ১০৬ বছর পুরনো এমন একটি কেক খুঁজে পেয়েছে অ্যান্টার্কটিক হেরিটেজ ট্রাস্ট। আর এই কেক আর তার গন্ধ জানান দেয়, এখনই তা খাওয়া যাবে।

নিউজিল্যান্ডভিত্তিক অ্যান্টার্কটিক হেরিটেজ ট্রাস্টের সংরক্ষণবিদেরা ইস্ট অ্যান্টার্কটিকার কেপ অ্যাডারের একটি ঘরে এই কেকটি খুঁজে পেয়েছেন। টিনের একটা কৌটার মধ্যে কাগজে মোড়ানো অবস্থায় অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় কেকটিকে। টিনের কৌটার দশা খারাপ হয়ে গেলেও কেকটা তাজাই রয়ে গেছে।

ট্রাস্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯১০-১৩ সালের টেরা নোভা নামের এক অভিযানের সময় ওই চালাঘরে অভিযাত্রীরা থেকে ছিলেন। সম্ভবত তারাই কেকটি ফেলে গিয়েছিলেন সেখানে।

ব্রিটিশ অভিযাত্রী রবার্ট ফ্যালকন স্কট ওই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আর হান্টলি অ্যান্ড পামার্স নামের এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এতে পৃষ্ঠপোষকতা করে। ১৮২২ সালে ব্যবসা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি ।

সংরক্ষণবিদ লিজি মিক ন্যাশনাল জিওগ্রাফিককে বলেন, দুর্গম স্থান থেকে এ রকম একটা অক্ষত ফ্রুটকেক পাওয়াটা সত্যিই বিরল ঘটনা।

অ্যান্টার্কটিকায় টিকে থাকতে গেলে উচ্চমাত্রায় চর্বি ও শর্করাসমৃদ্ধ খাবার দরকার হয়। সে জন্যই অভিযাত্রীরা ফ্রুটকেক নিয়ে যেতেন।

ক্যাপ্টেন রবার্ট ফ্যালকন স্কট (মাঝে, পেছনে) ও তার ভাগ্যাহত অভিযাত্রী দল
ক্যাপ্টেন রবার্ট ফ্যালকন স্কট (পেছন দিকে মাঝখানে বসা) ও তার ভাগ্যাহত অভিযাত্রী দল

কেকটির আয়ু (!) শতবর্ষ ছাড়ালেও ক্যাপ্টেন স্কটের অভিযাত্রীদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না। সফলভাবে দলটি দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছাতে সক্ষম হলেও ফিরে আসার পথে ব্রিটিশ সেই অভিযাত্রী দলের সবাই মারা যায়। অবশ্য তাদের ৩৩ দিন আগেই নরওয়েজিয়ান একটি দল সেখানে পৌঁছায়।