চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ঋণ থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে চায় বাংলাদেশ

বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সহজ শর্তে কম সুদে ঋণ নেয়ার সুযোগ থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে চায় বাংলাদেশ। সংস্থা দুটির বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে, কাজেই ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স আইডিএ’র অর্থ কম পাওয়া যাবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জনে বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএএফ এর শীর্ষ নির্বাহীরা সারা বিশ্বের রাজনীতিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক আইএমএফ এর বার্ষিক সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ড. জিম ইয়ং কিম এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লাগার্ড দু’জনই আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগের খবর জানান। বিশ্ব বাণিজ্যে বড় রাষ্ট্রগুলোর আধিপত্য চলতে থাকলে আইএমএফ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে উদ্বেগ জানান সংস্থাটির শীর্ষ নির্বাহী।

ক্রিস্টিন লাগার্ড বলেন, ‘আমাদের জাতির পিতারা এখন থাকলে নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তায় পড়ে যেতেন। বিশ্বজুড়ে জনগণের জীবনমান উন্নত করতে মুক্ত ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এখন অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। এছাড়া বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতেও এসব জরুরি।’

১৮৮ টি সদস্য রাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের সহযোগিতা ছাড়া বিশ্বব্যাংকের কোনো পদক্ষেপই সফল হবে না, কাজেই নীতি নির্ধারকদের রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর জোর দেন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ড. জিম ইয়ং কিম।

তিনি বলেন, ‘তীব্র দারিদ্র্য দূরীকরণে আমাদের দিক থেকে ব্যবস্থা নেয়া খুব জরুরি বলে আমি মনে করি। দিন শেষে দরিদ্রদের জন্য আমাদের আকাঙ্ক্ষা তাদের নিজেদের জন্য আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকতে হবে।’

উদ্বোধনী পর্বের পর বিশ্বব্যাংক সদর দপ্তরে সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এনেট ডিক্সনের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বেসরকারি খাতকে শক্তিশালী করতে বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা মাল্টিল্যাটেরাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সি মিগার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য কিছু ঋণ নিতে হবে, যার জন্য তিনি তৈরি। বাংলাদেশের ঋণ পরিস্থিতি বিশ্বের সবচেয়ে ভালো ঋণ ব্যবস্থার একটি। ‘২শ’ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে মাত্র ২৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ। এটি কিছুই না।’ সরকার এ থেকে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে বলে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ভারতের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে মধ্যাহ্ণভোজ সভায় যোগ দেয়ার কথা রয়েছে অর্থমন্ত্রীর।