চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দেশের ৪ সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত, বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি

সারাদেশে বৃষ্টি হলেও দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার ভারি বৃষ্টিতে দেশের ৪টি সমুদ্র বন্দরে এখনো ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে।

তবে নতুন করে বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে ফেনীর কয়েকটি এলাকা।ত্রাণের অভাব আর নানা রোগ বালাইয়ে দুর্ভোগে ঘরে ফেরা বানভাসী মানুষ।

ভারী বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবারই চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে পাহাড় ধসের সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরপরই চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের জঙ্গল সলিমপুরে পাহাড় ধসে ৫ জনের মৃত্যু। তবে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম বিভাগে আবারো পাহাড় ধসের আশংকায় সতর্ক বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সাথে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে বার্তায়। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে রয়েছে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত। সাগরে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকেও সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

সারাদেশে বৃষ্টি হলেও দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির তেমন অবনতি হয়নি। তবে নতুন করে বন্যা কবলিত হয়েছে ফেনী। মাতা মুহুরী নদীর পানি বেড়ে বাঁধে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে গ্রাম।

গাইবান্ধা সদর, সন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটার ৪ টি উপজেলার বন্যা কবলিত ৩০টি ইউনিয়ন থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। কিন্তু কমছে না মানুষের দুর্ভোগ। পানি কমার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে নানা রোগ। সেই সাথে ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ বন্যা কবলিতদের।

বন্যার পানিতে কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি ও রাস্তা-ঘাট বিধ্বস্ত হওয়ায় অনেকেই বসত বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানি বাহিত নানা রোগ। রয়েছে ত্রাণ ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

এদিকে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি কমছে। পানি নেমে যাওয়ায় বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র থেকে মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু বসবাসের অনুপযোগী ঘরবাড়ি মেরামতে সহায়তা পাচ্ছে না তারা। সেই সাথে বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের সংকট লেগেই রয়েছে। ঘুরে দাঁড়াতে সরকারী বেসরকারি সহায়তা চেয়েছে বানভাসীরা।

বিস্তারিত দেখুন প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য ও ভিডিও চিত্রে মৌসুমী সুলতানার রিপোর্টে: