রাজধানীর উত্তরায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র মজুদ করাকে গভীর চক্রান্ত উল্লেখ করে ঢাকার পুলিশ কমিশনার বলেছেন, এটা সাধারণ সন্ত্রাসীদের কাজ নয়। যারা ৯২ দিন দেশে জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ পুড়িয়েছে এবং বিভিন্ন বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছে তারা নেপথ্যে আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টরের বৌদ্ধ মন্দিরের পাশের খাল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার অভিযান নিয়ে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তিনি বলেন, বিপুল পরিমাণ ওই অস্ত্র ও গোলাবারুদ ঢাকার বাইরে থেকে এসেছে নাকি আগে থেকেই মজুদ ছিলো তা তদন্ত করা হচ্ছে। চেকপোস্ট থাকার পরও কিভাবে এতো অস্ত্র নিয়ে আসা হলো সে বিষয়ে কমিশনার বলেন, এসব অস্ত্র উত্তরার নির্জন এলাকা দিয়ে আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, সাধারণ সন্ত্রাসীদের কাজ এটা না। যারা ১৫ সালে ৯২ দিন এদেশে নারী-শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছে। যারা সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করেছে। এই ধরনের চক্র যারা আন্তর্জাতিক ও দেশীয়ভাবে মদদ পেয়ে এসেছে, যারা সংঘবদ্ধভাবে এদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব নষ্ট করে, দৃশ্যমান যে উন্নয়ন তা ব্যহত করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়। সেই ধরনের চক্রের অপপ্রচার এটি।
যে পাজেরো জিপ থেকে অস্ত্রগুলো খালে ফেলা হয়েছে সেই জিপের বিষয়েও তদন্ত চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ধারণা কোনো এক সময় এটা উত্তরাতে আনা হয়েছিলো। উত্তরার ভেতর দিক থেকেই গাড়িটা এসে এখানে ডাম্পিং করেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হচ্ছে। এই জিপ কারা ব্যবহার করে, কোথায় কোথায় এসব জিপ চলে সেসব জানান জন্য আমাদের তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছে।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্র আধুনিক ও নতুন হলেও কোন দেশের তৈরি তা উল্লেখ নেই বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।