চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

অস্ট্রেলিয়ায় সন্ত্রাসী হামলাকারী ছিল জেলখাটা আসামী

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিহত বন্দুকধারী ইয়াকুব খায়ের আগে থেকেই পুলিশের অপরাধীর তালিকায় ছিল বলে জানিয়েছে মেলবোর্ন পুলিশ। গত বছর পর্যন্ত সে কারাগারেও ছিল অন্য আরেক অপরাধের সাজা হিসেবে।

মঙ্গলবার পুলিশ খায়ের ও তার মায়ের বাসায় অভিযান চালিয়ে কয়েকটি কম্পিউটারসহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জাম এবং বেশকিছু বই জব্দ করেছে।

ভিক্টোরিয়া পুলিশ চিফ কমিশনার গ্রাহাম অ্যাশটন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সোমালি বংশদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ২৯ বছর বয়সী খায়েরের অপরাধের লম্বা ইতিহাস আছে। ২০০৯ সালে সে সিডনির সেনা ব্যারাকে হামলা চালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় এবং ধরা পড়ে। এ অপরাধে ২০১০ সালে তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এত বছর জেল খেটে ২০১৬ সালে প্যারোলে মুক্তি পায় খায়ের।

খায়ের একটি এসকর্ট সার্ভিসের মাধ্যমে মেলবোর্নের ওই অ্যাপার্টমেন্টের অধিবাসী নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং দেখা করার দিনক্ষণ ঠিক করে। তারপর সেখানেই হামলা চালিয়ে শটগান নিয়ে ওই নারীকে জিম্মি করে।

ওই অবস্থায়ই স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমে ফোন করে খায়ের জানায়, সে জঙ্গি সংগঠন আইএসের নামে কাজটা করছে। যদিও খায়ের সত্যিই আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা, তেমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে বিবিসি’কে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রাহাম অ্যাশটন বলেন, ‘আমরা এখনো জানি না সে (খায়ের) আগে থেকে পরিকল্পনা করে হামলাটি চালিয়েছে, নাকি হঠাৎ করে কাজটি করেছে।’ আইএসের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘তারা (আইএস) সবসময়ই কিছু একটা ঘটলেই লাফ দিয়ে তার দায় স্বীকার করে বসে।’অস্ট্রেলিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা

তবে খায়ের আইএস এবং আল-কায়েদার নাম উল্লেখ করেছিল জানিয়ে অ্যাশটন বলেন, এ কারণেই ঘটনাটিকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে আমলে নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে। পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানোর জন্যই সোমালি বংশদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক খায়ের ব্রাইটনের ওই ধনী এলাকাকে টার্গেট করেছিল কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

জিম্মি নারীকে উদ্ধারের চেষ্টা করতে গেলে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে খায়ের। এতে তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। এরপর পুলিশও পাল্টা গুলি করলে এক পর্যায়ে খায়ের গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

তবে জিম্মি ওই নারীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। আর নিহত ব্যক্তি সম্পর্কে অ্যাশটন বলেন, ওই ব্যক্তি ভবনটির একজন কর্মচারী। তিনি ‘ভুল সময়ে ভুল জায়গায় পড়ে গিয়েছিলেন’।