গাজীপুরের প্রতাপপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। মুক্তিপণ দাবি করে ওই পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে তারা।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারের সহযোগিতায় ঘটেছে ওই অপহরণের ঘটনা।
গত ৯ মার্চ স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত হয় ৭ম শ্রেণীর ওই ছাত্রী। ঘটনার দুই দিন পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে একই গ্রামের সোহেল নামের এক কাঠমিস্ত্রি তাকে তুলে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা করলে ওই ছাত্রীর পরিবারকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।
মেয়ের পরিবার জানায়, টিউশনি থেকে ফেরার সময় মেয়েকে উঠায় নিয়ে গেছে। মেম্বারের কাছে বলেছি; তারা বলছে, যেটা হয়েছে ভালো করে কথাবার্তা বলে মিলঝিল করে দিবো।
মেয়েটির মা জানায়, আমাদের হুমকি দিচ্ছে যে গ্রাম থেকে বের করে দিবে।
অপহৃত ১২ বছর বয়সী ওই মেয়ের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন লোহাগাছিয়া গ্রামের মেম্বার শামসুদ্দিন।
নির্বাচনী প্রচারণার বিধি-নিষেধের কারণে এ ব্যাপারে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে ফোনে জানান, সোহেল ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।
তবে এর কিছুক্ষণ পরেই অভিযুক্ত কাঠমিস্ত্রি সোহেলকে পাওয়া যায় মেম্বার শামসুদ্দিনের বাসার পাশেই তার কাঠের দোকানেই।
ঘটনার প্রায় এক মাস পর শ্রীপুর থানায় মামলা করে মেয়েটির পরিবার। এরপর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না কাঠমিস্ত্রি সোহেল আর তার পরিবারের কোনো সদস্যের।
গাজীপুরে শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, প্রথমে দেখবো রেড করে তার খোঁজ পাওয়া যায় কিনা। পাশাপাশি কললিস্ট চেক করে ওই কাজটা করা শুরু করে দিয়েছি।
রাতেই অপহৃত ছাত্রী উদ্ধারে লোহাগাছিয়া গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
অপহৃত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরাও রয়েছে আতংক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে।