যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মোট আড়াই কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ট্রাম্প ইউনিভার্সিটির তিনটি মামলার মীমাংসা করেছেন বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ৬ হাজার শিক্ষার্থী এই মামলাগুলো করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদেরকে সারা দেশ থেকে ‘বাছাই করা সেরা’ শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষাদান করার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল বলে তারা প্রত্যেকে ৩৫ হাজার ডলার করে দিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদেরকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার ‘গোপন কৌশল’ শেখানো হবে এবং এর জন্য ট্রাম্প নিজেই প্রশিক্ষক বাছাই করবেন করবেন, এমন প্রতিশ্রুতির পরই শিক্ষার্থীরা সেখানে ভর্তি হন বলে জানান।
এর প্রেক্ষিতেই ৪০ মিলিয়ন বা ৪ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণের দাবিতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ‘জালিয়াতি’র অভিযোগ তুলে ক্যালিফোর্নিয়া ও নিউইয়র্কে মামলাগুলো করেন।
কয়েক বছর ধরে চলে আসা এই মামলাগুলোর ব্যাপারে ট্রাম্প বরাবরই বলে এসেছেন, তিনি কখনোই কোনো ধরণের সমঝোতায় আসবেন না। কিন্তু হঠাৎ করে নিজের অবস্থান থেকে ‘১৮০ ডিগ্রি ঘুরে আসা’কে ভুক্তভোগীদের জন্য ‘বিশাল বিজয়’ বলে উল্লেখ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক শ্নাইডার।
তিনি বলেন, “আজকের আড়াই কোটি ডলারের নিষ্পত্তি ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগের কথা থেকে ফিরে আসার বিস্ময়কর উদাহরণ এবং তার জালিয়াত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ৬ হাজার ভুক্তভোগীদের বিশাল বিজয়। ভুক্তভোগীরা বহু বছর ধরে আজকের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করে ছিলেন। আমি খুবই খুশি যে তাদের ধৈর্য এবং অধ্যাবসায় আড়াই কোটি ডলারের সমঝোতা দিয়ে পুরস্কৃত হয়েছে।”