চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

আহত সিংহের সামনে সাবধানী বাঘ

মাঠে হয় ‘নকল’ যুদ্ধ। ‘আসল’ যুদ্ধ তো হয় অনুশীলনে। ক্রীড়াজগতে এই ধরনের কথা বহুল প্রচলিত। অনুশীলনে দুটি দলের হালচাল দেখে জহুরি চোখ বুঝে নিতে পারে, কী ভাষা ভেসে আসছে ‘যোদ্ধা’র শরীর থেকে। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে দুই দলের অনুশীলন থেকে জমজমাট লড়াইয়ের আঁচ পাওয়া গেল। যে আঁচের ফুলকিতে সিংহের ছবি! বাকিটা জুড়ে সাবধানী বাঘ।

দ্বিতীয় টেস্ট হারার পর শ্রীলঙ্কা যে ধাক্কা খেয়েছে তা থেকে এখনো বের হতে পারেনি। প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের শরীরী ভাষায় সেই ঘোরের ছবি ছিল স্পষ্ট। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা যেখানে অনায়াসে বল পিটিয়েছেন, লঙ্কানরা সেখানে খাবি খেয়েছেন। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে অনুশীলনে তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখা গেছে তাদের।

সকাল-সকাল অনুশীলনে চলে আসেন প্রধান নির্বাচক সনাৎ জয়সুরিয়া। ছেলেদের সময় দেন। হয়তো রণকৌশলও ঠিক করা হয়েছে তার সামনে।

মঙ্গলবার বেলা তিনটা থেকে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচের উইকেট পেসসহায়ক হতে পারে। এই ধারণা থেকে দলে ডাকা হয়েছে অভিজ্ঞ পেসার নুয়ান কুলাসেকারাকে। সঙ্গে জায়গা পেয়েছেন নুয়ান প্রদীপ।

বাংলাদেশের একাদশ কেমন হতে পারে, সে বিষয়ে অধিনায়ক মাশরাফি স্পষ্ট করে কিছু না বললেও ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রয়োজনে উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে পারে তার দল। মাশরাফি এমন কথা বলেছেন মূলত উইকেটের কথা চিন্তা করে। সোমবার বিকেল পর্যন্ত পিচে হালকা ঘাস দেখা গেছে। সকালে উইকেট দেখে বাংলাদেশ একাদশ ঠিক করবে।

উইনিং কম্বিনেশন ভাঙার ঘটনা বাংলাদেশের জন্য নতুন নয়। ২০১৫ সালে ভারত এবং সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে একই কাজ করেছিল হাথুরুবাহিনী।

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা একে অপরের সঙ্গে ৩৯টি ওয়ানডে খেলেছে। এর মধ্যে ৩৩টি ম্যাচে জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের জয় পাঁচটিতে। একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। পরিসংখ্যান বলছে ওয়ানডেতে লঙ্কানদের বিপক্ষে লাল-সবুজের ইতিহাসটা সুখকর নয়। কিন্তু শেষ ম্যাচ বলছে ভিন্ন কথা। বাংলাদেশ যেভাবে দাপট দেখিয়ে জয় পায়, তাতে দ্বিতীয় ম্যাচেও স্বাগতিকদের পাত্তা পাওয়ার কথা নয়।

কিন্তু লঙ্কানদের ওই ‘ডু আর ডাই’ অনুশীলনের ছবিতে আছে ফিরে আসার প্রত্যয়। মাঠে হাজির হয়ে জয়সুরিয়া মাশরাফিদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। বাংলাদেশের এই দলটি নিয়ে বলেছেন আরো অনেক কথা।

যেটা বলেননি, সেটা লুকানো ছিল তার চোখের ভাষায়, ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী!’