চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

আসন্ন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ার ইঙ্গিত পাচ্ছে জাতিসংঘ

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণের ইঙ্গিত পাচ্ছে জাতিসংঘ। তবে শুধু অংশ্রগহণমূলক নির্বাচন নয়, বরং গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন আশা করে তারা। ডিক্যাব টকে অংশ নিয়ে জাতিসংঘের বিদায়ী আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, নির্বাচনের সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো যেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে নবীন উল্লেখ করে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সক্ষম ও শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে রবার্ট ডি ওয়াটকিনস বলেন: আমি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনের ফল দেখতে মুখিয়ে আছি। কেননা, এ নিয়ে আমি খুব খেটেছি। বিশেষ করে যেন নির্বাচনের সময়ে কার্যরত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করতে।

‘আমি সব দলের সঙ্গেও কথা বলেছি যেন আসন্ন নির্বাচন অংশগ্রহনমূলক হয়। আমি আশাবাদী, সেটা হবে। তার কিছু ইতিবাচক ইঙ্গিতও পাচ্ছি। সব দল অংশগ্রহণের মুডে আছে। তবে আমরা শুধু অংশগ্রহণমূলক নয় বরং নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও স্বচ্ছতাও চাই,’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দিতে বাংলাদেশ গড়িমসি করছে বলে মিয়ানমারের দাবি ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেন জাতিসংঘের বিদায়ী আবাসিক প্রতিনিধি।

ব্যস্ত তিনটি বছর কাটিয়ে বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার ঠিক আগে তাকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে শতাব্দীর সবচে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ‘রোহিঙ্গা এপিসোড’ নিয়ে। ফিরে যাওয়ার আগে এ সব নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন জাতিসংঘের বিদায়ী আবাসিক প্রতিনিধি।

বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের অংশী হওয়ার পাশাপাশি জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ওয়াটকিনস গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির উন্নয়ন, নির্বাচন পরিচালনায় দক্ষতা বাড়াতে পাশে ছিলেন। কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাবের নিয়মিত আয়োজন ‘ডিক্যাব টক’-এ ওইসব বিষয়ের পাশাপাশি কথা বলেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে।

তিনি অভিযোগ করেন জাতিসংঘসহ সাহায্য সংস্থাগুলোকে রাখাইন রাজ্য থেকে দূরে রাখা হয়েছে। এজন্য আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার কথা বলেন তিনি।

রবার্ট ডি ওয়াটকিনস বলেন: আমরা জানি সমস্যা কোথায় এবং কোথায় সমাধান করতে হবে। এর সমাধান বাংলাদেশে হবে না। বাংলাদেশ কেবল তাদের বাঁচিয়ে রাখার কাজটাই করতে পারে। তবে এও ঠিক অন্য যে কোন দেশের থেকে বাংলাদেশ বেশি করে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চায়। কেননা তারাই ভুক্তভোগী।

‘বাংলাদেশ সমস্যার সমাধান চায় না এটা বলা ঠিক হবে না।’

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি মিয়ানমারের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপের তাগিদ দেন ওয়াটকিনস। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদ রেজুলেশন পাশ করতে ব্যর্থ উল্লেখ করে জাতিসংঘের বর্তমান কাঠামো ঢেলে সাজানোর ইঙ্গিতও দেন তিনি।

রবার্ট ডি ওয়াটকিনস বলেন: এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। আমাদের সম্ভাব্য সবকিছুই করতে হবে। আমরা করবোও। তবে কারা কারা ফিরে যাবে তা নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মত পার্থক্য আছে। কিন্তু আমি মনে করি বাংলাদেশই ঠিক, সব রোহিঙ্গাকেই ফেরত নিতে হবে।

রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও জাতিসংঘের পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে মিডিয়ার জোরালো ভূমিকা নেওয়ার কথাও বলেন ওয়াটকিনস।