সাকিব-তামিম-মুশফিকসহ টাইগারদের দারুণ নৈপূণ্যে শততম টেস্ট ম্যাচের মাধ্যমে ঐতিহাসিক লংকাজয় সম্ভব হয়েছে। বিশেষ ক্ষণে বিশেষ উপলক্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে টাইগারদের কৃতিত্বে উচ্ছসিত পুরো দেশ। টাইগারদের জয়ের পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রীলংকায় ফোন করে মুশফিক বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ঐতিহাসিক জয়ে দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের অবদান থাকলেও এ ফলাফলের অন্যতম কারণ ধারাবাহিকভাবে টেস্ট খেলার সুযোগ। বাংলাদেশের জয়ের পর পরই বিসিবির গেম ডেভেলপম্যান্ট বিভাগের ন্যাশনাল ম্যানেজার নাজমুল আবেদিন ফাহিম সেই মূল্যবান কারণটি ব্যাখ্যা করেছেন। সাকিব-তামিমসহ বাংলাদেশের অনেক তারকা ক্রিকেটারের সাবেক এ কোচ বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ কয়েকটি টেস্ট সিরিজ খেললো। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভারতের পর শ্রীলঙ্কায়। যেটা লক্ষণীয়, বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের মেজাজ ধরতে পারছে। ধারাবাহিকভাবে খেলতে পারায় নিজেদের আবিস্কার করার সুযোগ ওদের ছিল। সেটার ফল আমরা দেখলাম। ধারাবাহিকভাবে যদি টেস্ট খেলার সুযোগ না পেত তাহলে এ ম্যাচটা বাংলাদেশ জিততে পারতো কিনা আমার সন্দেহ আছে।’ চার মাসের ব্যবধানে চারটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের অক্টোবরে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু, শেষ হলো শ্রীলঙ্কায়। অতীতে টানা টেস্ট খেলার এমন সুযোগ কমই হয়েছে টাইগার ক্রিকেটারদের। সুযোগ পেয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে টাইগাররা। যদিও বাংলাদেশ বছরে কতোগুলো টেস্ট খেলার সুযোগ পাবে, তা নির্ভর করে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক আইসিসি কর্তাদের উপরে। ক্রিকেট কূটনীতিতে বিসিবি কর্তারা কতোটুকু সুবিধা করতে পারবেন, তার উপরও নির্ভর করছে বাংলাদেশের বেশি বেশি টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ। দেশের মধ্যে দারুণ ক্রিকেটিয় কাঠামো এবং গত কয়েক বছর ধরে টাইগারদের ধারাবাহিক সাফল্যের মুখে টাইগার নিন্দুকরাও টাইগারদের ফ্যানে পরিণত হওয়াও বেশি বেশি খেলার সুযোগ তৈরি করছে। বাংলাদেশের জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে নিয়মিত টেস্ট খেলার সুযোগ তৈরির জন্য যা যা করার তা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।