আমেরিকার সাউদার্ন অঙ্গরাজ্য আরকানসাসে মার্সেল ওয়েন উইলিয়ামস এবং জ্যাক হেরল্ড জনস নামের দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যর অ্যার্টনি জেনারেল লেসলি রটলেডজ।
আরকানসাস অঙ্গরাজ্যে সোমবার রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে প্রথম ব্যাক্তি জ্যাক হেরল্ড জনসের মৃত্যু দণ্ডাদেশ সম্পাদন করা হয়। ১৯৯৫ সালে একজনকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
অন্যদিকে ১৯৯৪ সালে স্টেসি এরিকসনকে হত্যার দায়ে দ্বিতীয় ব্যক্তি ওয়েন উইলিয়ামের মৃত্যুদণ্ড সম্পাদন করা হয়। বলা হচ্ছে, ১৯৯৯ সালের পর আমেরিকায় দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর আরকানসাসের অ্যাটর্নি জেনারেল লেসলি রটলেডজ বিবিসিকে বলেন, নিহতদের পরিবার দীর্ঘ দিন ধরে ন্যায় বিচারের জন্য অপেক্ষায় ছিলো। আমি মনে করি তারা আজ রাতে শান্তি খুঁজে পাবে।
মার্সেল ওয়েন উইলিয়ামের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে তার আইনজীবী কর্তৃক জনসকে ইলেকট্রিক চেয়ার বা বিষাক্ত ইনজেকশন অত্যাচার এবং অমানবিকভাবে দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ আনলে ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট সাময়িকভাবে উইলিয়ামের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখেন। পরে তাদের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ফেডারেল জাজ বলেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। মূলত প্রস্তুতি গ্রহণ করতে উইলিয়ামের দণ্ড কার্যকর করতে সময় লেগেছে।
২০০৫ সালের পর প্রায় ১২ বছরে ২০ এপ্রিল প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় লেডেল লি নামক এক হত্যার আসামীর। ১৯৯৫ সালে একজন মহিলাকে হত্যার দায়ে তাকে এই দণ্ড দেয়া হয়। তবে তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিজেকে নির্দোষ দাবী করেছিলেন।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এটাকে ‘লজ্জার দিন’ বলে আখ্যায়িত করে প্রদেশটি জনগণকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে।
আরকানসাসে এমন জোড়া মৃত্যুদণ্ড সর্বশেষ দেয়া হয়েছিলো ১৯৯৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের মধ্যে ১৯টিতে মৃতুদণ্ড বাতিল হলেও ৩১টিতে কার্যকর রয়েছে। ইলেকট্রিক চেয়ার বা বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমেই সাধারণত তা কার্যকর করা হয়।
তবে ১১ দিনের মধ্যে আরকানসাস অঙ্গরাজ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন ঘটনা।