চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আমলার ঝোড়ো সেঞ্চুরির পর বাটলারের পাগলাটে টর্নেডো

প্রথমঅর্ধে হাশিম আমলার ঝোড়ো সেঞ্চুরি, সঙ্গে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মিনি টর্নেডো; পাঞ্জাবের ঝুলিতে দুইশ ছুঁই ছুঁই সংগ্রহ। পরেরঅর্ধে জস বাটলারের পাগলাটে টর্নেডো, আর নিতিশ রানার ঝড়। কিন্তু দিনশেষে হাসতে পারবেন কেবল একঅর্ধের ব্যাটসম্যানরাই। তাতে হাসি বাটলার-রানার। মুম্বাইয়ের ৮ উইকেটের জয়টাকে অতি মাত্রায় সহজ করে দিয়েছেন পরেরঅর্ধের এই দুই ব্যাটসম্যান।

ইন্দোরের হলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৮ রান তোলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। জবাবে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ২৭ বল হাতে রেখেই জয়ে নোঙর ফেলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

পাঞ্জাব ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি পায়। শন মার্শ ২৬ রানে ফেরার পর ফিরেছেন আরো তিন ব্যাটসম্যান। যার মাঝে ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে টর্নেডো গতিতে এসেছে ৪ চার ও ৩ ছয়ে ১৮ বলে ৪০ রান।

অন্যপ্রান্তে আমলা ইনিংসের আগাগোড়া ব্যাট করেছেন। অপরাজিত ছিলেন ১০৪ রানে। ঝোড়ো ইনিংসটি ৮ চার ও ৬ ছয়ে ৬০ বলে সাজিয়েছেন সাউথ আফ্রিকান তারকা।

মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে বড় কোপটা গেছে লাসিথ মালিঙ্গার ওপর দিয়ে। ৪ ওভারে ৫৮ রান খরচায় উইকেটশূন্য এই লঙ্কান। ১০-এর ওপর গড়ে রান দিয়েছেন আর মাত্র একজন। মিচেল ম্যাকক্লেনেঘান ৪ ওভারে ৪৬ রান দিলেও ২টি উইকেট নিয়েছেন।

জস বাটলার

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫.৫ ওভারেই ৮১ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় মুম্বাই। ৪ চার ও ২ ছয়ে ১৮ বলে ৩৭ রানে পার্থিব প্যাটেল ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তার সঙ্গী বাটলার ফিরেছেন টর্নেডো গতির ৭৭ রানে। ৭ চার ও ৫ ছয়ে ৩৭ বলে নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ইংলিশ তারকা।

বাটলার ফেরার আগে রানার সঙ্গে ৮৫ রানের আরেকটি ঝোড়ো জুটি গড়েছেন। পরে রানা ও হার্দিক পান্ডিয়া ম্যাচ শেষ করে এসেছেন। কোন চারের মার না থাকলেও ৭ ছয়ে ৩৪ বলে ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন রানা। সঙ্গী পান্ডিয়া অপরাজিত ২ চার ও ১ ছয়ে ৪ বলে ১৫ রানে।

পাঞ্জাবের বোলারদের মধ্যে হাত ঘোরানো সকলেই ১০-এর ওপর গড়ে রান দিয়েছেন। ৪ ওভারের কোটা পূরণ করতে পেরেছেন কেবল ইশান্ত শর্মা। মালিঙ্গার সমান ৫৮ রান খরচ করে উইকেটশূন্য ভারতীয় পেসারও।