চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ডায়ালাইসিস শেষে আইসিইউতে আবদুল জব্বার

বরেণ্য সংগীতশিল্পী আবদুল জব্বারের শারীরিক অবস্থা ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হিমো-ডায়ালাইসিস ইউনিটে তার কিডনির ডায়ালাইসিস করা হয়। বিকাল পৌনে ৫টায় ডায়ালাইসিস শেষে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

এ সময় তার হার্টরেট ছিল ১০৯, রক্তচাপ ১৪৩/৯০। হিমো-ডায়ালাইসিস ইউনিটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবদুল জব্বারের স্ত্রী শাহীন জব্বার। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘আবদুল জব্বারের অবস্থা খুবই খারাপ। যত খারাপ হলে আইসিইউতে রাখতে হয়, ততটাই। ডায়ালাইসিস শেষে আবার তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শিল্পী আবদুল জব্বারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।’

আইসিইউতে কর্তব্যরত চিকিৎ​সক বললেন, ‘আবদুল জব্বারের অবস্থা অপরিবর্তিত। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। হার্ট, প্রস্টেটসহ নানা রোগে ভুগলেও তার কিডনি সমস্যা প্রকট। দুটি কিডনি পুরোপুরি অকেজো। ডায়ালাইসিস করা জরুরি হলেও রক্তচাপ ওঠানামা করায়, তা করা যাচ্ছিল না। রক্তচাপ কিছুটা স্বাভাবিক হলে আজ ডায়ালাইসিস করা হয়। তিনমাস ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত মঙ্গলবার অবস্থা বেশি খারাপ হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।’

‘সালাম সালাম হাজার সালাম’, ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘ওরে নীল দরিয়া’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় বাংলা গানের গায়ক আবদুল জব্বার মুক্তিযুদ্ধের সময় হারমোনিয়াম নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের গান গেয়ে উদ্বুদ্ধ করেন। সেই দুঃসময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গেয়েছেন অসংখ্য গান। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এই শিল্পীর গাওয়া গান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা ও মনোবল বাড়িয়েছে।

ওই সময় ভারতের বিভিন্ন স্থানে গণসংগীত গেয়ে প্রাপ্ত ১২ লাখ টাকা তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করেছিলেন। ১৯৭১ সালে মুম্বাইয়ে ভারতের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জনমত তৈরিতেও নিরলসভাবে কাজ করেন তিনি।

সংগীতে অসামান্য অবদানের সীকৃতিস্বরুপ তাকে ১৯৮০ সালে একুশে পদক ও ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করে বাংলাদেশ সরকার।