নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ’কে টাইব্রেকারে হারিয়ে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবলে ১১ তম শিরোপা জিতেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। মিলানের সানসিরোতে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়েও ফল না আসায় খেলা গড়িয়েছিলো টাইব্রেকারে। সেই পর্বে ৫-৩ ব্যবধানে বাজিমাৎ করে রিয়াল। আর অ্যাটলোটিকোর জন্য এবারও শিরোপা জয় অধরাই থেকে যায়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথম ফাইনালের আগে ছোট তবে মন ছুঁয়ে যাওয়া আনুষ্ঠানিকতা হয়। সেই অনুষ্ঠান আলো করতে সানসিরো স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ছিল মহারথীদের মেলা। নাঁচ-গানের আয়োজনের মতোই প্রথম মিলানের সানসিরো স্টেডিয়ামে রিয়াল মাদ্রিদের সাফল্যের পথে যাত্রা। ৬ মিনিটেই রিয়ালকে এগিয়ে দিতে পারতো সেটপিসে অধিনায়ক র্যামোসের গোল।
সেই গোল এলো আরো নয় মিনিট পর। সেটপিসে ক্রুজ’র ফ্রিকিক বেল’র মাথা ছুঁয়ে মাটিতে পড়তেই র্যামোসের শটে রিয়ালের লিড। ২০১৪’র ফাইনালে র্যামোসের গোলে সমতা ফিরিয়েছিলো লস ব্ল্যাঙ্কোস। এবার তার গোলে এগিয়ে যাওয়া।
এরপর রিয়াল খেলেছে হিসেবি ফুটবল। পিছিয়ে পড়া সিমিওনের অ্যাটলেটিকো চড়াও হয়েছিলো রিয়াল ডিফেন্সে। ফেঞ্চম্যান গ্রিজম্যান রিয়াল ডিফেন্স’কে চাপেই রেখেছিলেন।
নিস্প্রাণ প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অ্যাটলেটিকো ফরোয়ার্ড তোরেস’কে ডিফেন্ডার পেপে নিজেদের বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় অ্যাটলেটিকো। সেই পেনাল্টি কিকে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন গ্রিজম্যান। রিয়ালের বিপক্ষে এটি মৌসুমের দ্বিতীয় পেনাল্টি মিস ফ্রেঞ্চ তারকার।
তবে খেলায় ঠিকই ফিরেছে অ্যাটলেটিকো । ৭৯ মিনিটে জুয়ানফ্রাঙ্ক’র ক্রসে পা ছুঁইয়ে অ্যাটলেটিকোকে সমতায় ফেরান বদলী খেলোয়াড় কারাসকো। ২০১৪’র মতো দুই মাদ্রিদ’র চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল ডার্বি নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমাপ্তি।
এবার ১২০ মিনিটে নিস্পত্তি না হওয়ায় টাইব্রেকারে ইউরো-সেরা ক্লাবের স্বীকৃতি আদায়। স্নায়ুক্ষয়ী সেই লড়াইয়ে রিয়াল পাঁচটি সুযোগই কাজে লাগিয়েছে।অ্যাটলেটিকোর জুয়ানফ্রাঙ্কোর শট আছড়ে পড়লো সাইড পোস্টে। রোনাল্ডোর গোলেই রিয়ালের বিজয় উৎসব। সানসিরো স্টেডিয়ামে ১৪ ম্যাচ খেলার পর রিয়ালের প্রথম জয়।
২০০২ এ রিয়াল’কে খেলোয়াড় হিসাবে চ্যাম্পিয়নন্স লিগ জিতিয়েছিলেন ফ্রেঞ্চ লিজেন্ড জিদান,এবার কোচ হিসাবে প্রথম বছরই ইউরোপ-সেরার খেতাব জেতালেন জিজু। মুনোজ, ক্রাপাতোন্নি, জোহান ক্রুয়েফ, কার্লোস আনচেলত্তি, ফ্রাঙ্কা রাইকার্ড, পেপ গার্দিওলার পর খেলোয়াড়-কোচ হিসাবে জিদান গড়লেন সপ্তম কীর্তি।
রিয়েল মাদ্রিদ: ১ (৫) (র্যামোস)
টাইব্রেকার: লুকাস (গোল), মার্সেলো (গোল), বেল (গোল), রামোস (গোল), রোনাল্ডো (গোল)
আটলেটিকো মাদ্রিদ: ১ (৩) (কারাসকো)
টাইব্রেকার: গ্রিজম্যান (গোল), গাবি (গোল), সল (গোল), জুয়ানফ্রান (মিস)