আপন জুয়েলার্সের সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ জব্দ ও তা সরকারি কোষাগারে নেয়ার পাশাপাশি এই স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ১৯ জনকে চিহ্নিত করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে সহকারি পরিচালক দীপা রানী হালদার সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১২৫ কেজি স্বর্ণের বিষয়ে আপন জুয়েলার্স গত ৩০ মে বিমানবন্দরের মাধ্যমে বিভিন্ন যাত্রীদের আনা ব্যাগেজ রিসিপ্টের ফটোকপি জমা দেয়। এই যাত্রীদের মধ্যে সন্দেহভাজন ১৯ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা ৬ মাসে কোন কোন ক্ষেত্রে ১৮ বারও বেশি বিদেশ ভ্রমণ করেছে। এরা কোন চোরাচালানের সাথে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া বিদেশে যাওয়ার সময় ৫ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নেয়ার ক্ষেত্রে ঘোষণা দেয়ার বিধান থাকলেও এই যাত্রীরা তা দেয়নি। তাই বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গের বিষয়েও তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। এতে আপন জুয়েলার্সের সম্পৃক্ততাও খতিয়ে দেখবে বলে জানায় শুল্ক গোয়েন্দা।
রোববার সিল করে রাখা আপন জুয়েলার্সের শোরুম থেকে সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ জব্দ করে সরকারি কোষাগারে (কেন্দ্রীয় ব্যাংকে) নেয় শুল্ক গোয়েন্দা। বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় এই বিপুল স্বর্ণ শুল্ক গোয়েন্দা আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ১৪ ও ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান এভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কোয়ার ও মৌচাকের ৫টি শোরুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৩.৫ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড ব্যাখ্যাহীনভাবে সাময়িকভাবে আটক করে। এগুলো পরে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় দেয়া হয়।
আত্মপক্ষ সমর্থনে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে ৩ বার শুনানির সুযোগ দিলেও তারা কোনপ্রকার বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি।
তবে আপনের মালিকপক্ষের দেয়া ১৮২ জনের তালিকার মধ্যে ৮৫ জন প্রকৃত গ্রাহককে মেরামতের জন্য জমা রাখা প্রায় ২.৩ কেজি স্বর্ণালঙ্কার অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেয়া হয়েছে।